বিএনপি নেতাদের মুক্তি দাবি জার্মান রাষ্ট্রদূতের
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ জার্মান রাষ্ট্রদূত আলব্রেখট কনজে কারাবন্দি বিএনপি নেতাদের মুক্তি দাবি করেছেন।
বৃহস্পতিবার নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতাদের মুক্তির জন্য আমি মন্ত্রীকে সব ধরনের উদ্যোগ নিতে অনুরোধ করেছি।
মওদুদ আহমদ ও এমকে আনোয়ারসহ ছয় বিএনপি নেতা বর্তমানে হরতালের মামলায় কারাগারে রয়েছেন। হামলা-ভাংচুরসহ নাশকতায় উস্কানি দেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
রাষ্টদূত বলেন, তাদের মধ্যে অনেকেই আমার বন্ধু। অ্যাটর্নি জেনারেল তাদের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ এনেছেন, সেরকম কিছু করা যে তাদের পক্ষে সম্ভব নয়, তা আমি খুব ভালো করে জানি।
অবশ্য বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর বিষয়ে জার্মানি ‘পুরোপুরি নিরপেক্ষ’ এবং সব সময় ‘একটি নির্দিষ্ট দূরত্ব রেখে’ চলে বলেও দাবি করেন তিনি।
আমি বিশ্বাস করি, একটি বিদেশি রাষ্ট্রের ভূমিকা এরকমই হওয়া উচিৎ।
নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক সংকটের মধ্যে জাতিসংঘ মহাসচিবের দূত অস্কার ফার্নান্দেজ-তারানকোর সফরের আগেই রাজনৈতিক দলগুলোকে ‘দায়িত্বশীল পদক্ষেপ’ নিতেও তাগিদ দেন জার্মান রাষ্ট্রদূত।
তিনি বলেন, ‘একেবারে শেষ মুহূর্তে’ তারনকোর এই সফরে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি অর্জনের জন্যই দলগুলোর এ পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ সম্ভব করতে ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলকে ‘রাজনৈতিক উত্তাপ’ কমিয়ে আনার উদ্যোগ নিতেও আহ্বান জানান আলব্রেখট কনজে।
রাজনৈতিক সহিংসতার সমালোচনা করে জার্মান রাষ্ট্রদূত বলেন, এটা রাজনৈতিক প্রচারের ধরন হতে পারে না।
নির্বাচন কমিশন ৫ জানুয়ারি ভোটের দিন রেখে দশম জাতীয সংসদ নির্বাচনের বিস্তারিত দিনক্ষণ ঘোষণা করলেও নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে প্রধান দুই দলের বিরোধ আর সহিংসতায় মানুষের মনের উৎকণ্ঠা কাটছে না।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ যেখানে ‘সর্বদলীয়’ সরকার গঠন করে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে, সেখানে বিরোধী দল বিএনপি ভোট ঠেকানোর ঘোষণা দিয়ে টানা ৭১ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে।
আলব্রেখট কনজে বলেন, এই সফরে (তারানকোর) কিছু গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি সম্ভভ। আমার দেশ এ ব্যাপারে কাজ করবে। আমি আশা করি, পুরো ইউরোপীয় ইউনিয়নই এ ব্যাপারে কাজ করবে।