ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চেয়েছিলেন সুজাতা

oli ali cornel কর্নেল অলিসিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট ড. কর্নেল অলি আহমদ, বীর বিক্রম (অবঃ), এমপি বলেছেন, ভারতের পররাষ্ট্র সচিব সুজাতা সিং অনেক ঘটা করে বিশেষ পরিবহনে স্বল্প সময় বাংলাদেশে এসেছিলেন। তার উদ্দেশ্য ছিল ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করা। বর্তমান উত্তপ্ত পরিস্থিতিকে আরো উত্তপ্ত করা। কিন্তু তিনি সফল হন নাই।

বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে একথা বলেন কর্নেল অলি।

অলি বলেন, বাংলাদেশীদের মৌলবাদী বলেছেন সুজাতা সিং । তার জ্ঞাতার্থে আমি বলতে চাই, আমরা সবাই মৌলবাদী। কারণ সবাই নিজ নিজ ধর্মের মূলমন্ত্রে বিশ্বাস করেন। যারা নিজ ধর্মের মূলমন্ত্রে বিশ্বাস করেন না তারা নাস্তিক।

তিনি বলেন, আমরা ১৮ দলীয় ঐক্যজোটের পক্ষ থেকে সব সময় বলেছি, আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সব প্রকার সমস্যার সমাধান সম্ভব। এদেশের মানুষ একাধিক বার এ ধরনের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। এখন কেন সম্ভব নয়? কার স্বার্থে সরকার দেশকে অস্থিতিশীল করছে, অনিশ্চয়তা এবং ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, সরকারের একগুঁয়েমির কারণে বর্তমান সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে মূলত সরকার নিজেই এ সমস্যার সৃষ্টি করেছে।

তিনি বলেন, সরকারের মনে রাখা উচিত, বাংলাদেশের জনগণ একবার যখন ঘর থেকে বেরিয়ে পড়েন, ওই সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফেরেন না। সুতারং নির্বাচন পদ্ধতি সবার কাছে গ্রহণযোগ্য না হওয়া পর্যন্ত দেশের মানুষ ঘরে ফিরে যাবেন না। কারণ বিগত ২৩ বছর সময়ে প্রায় পাঁচ বছর অনিশ্চয়তা এবং কষ্টের মধ্যে জীবন কাটাতে হয়েছে।

এক দলীয় শাসন থেকে বের হতে ইতোমধ্যে সরকারি বাহিনীর হাতে প্রায় ৮০ জন মৃত্যুবরণ, কয়েক শত গুলিবিদ্ধ ও অগ্নিদগ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন। ১৮ দলের হাজার হাজার নেতাকর্মী কারা বরণ করেছেন। কয়েক লাখ নেতাকর্মী মিথ্যা মামলার শিকার হয়েছেন।

এখন আওয়ামী লীগ সরকারের হাতে শেষ অস্ত্র হলো- জনগণের এ সংগ্রামকে নিস্তব্ধ করতে আরো গুলি চালানো এবং প্রয়োজনে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা।

সরকারের উদ্দেশ্য করে কর্নেল অলি বলেন, আমি বিনীতভাবে বলতে চাই-নির্যাতন, নিপীড়ন এবং দমন নীতির মাধ্যমে দেশের মানুষের বাক স্বাধীনতা, মানবাধীকার এবং ভোটারাধীকার হরণ করা সম্ভব নয়।

তিনি বলেন, আমি আশা করি-দেশ এবং জাতির স্বার্থে নির্বাচনের সময় সূচি বাতিল করে, অনতিবিলম্বে আলোচনার জন্য সক্রিয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে সরকার। অন্যথায় আওয়ামী লীগকে আরো খেসারত দিতে হবে এবং জনগণের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।

দেশের বিবেক বান মানুষ যে যেখানে থাকুন না কেন, ঐক্যবদ্ধভাবে  ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকবেন। কারণ জনগণ এখন আর নিজের জন্য বিপদ ডেকে আনতে চান না। অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় দেশের মানুষ অনেক বেশি সজাগ। জোর করে ক্ষমতায় আসা সম্ভব, কিন্তু টিকে থাকা সম্ভব নয়। অনির্দিষ্ট কালের জন্য জরুরি অবস্থা বজায় রেখে, দেশ শাসন করাও সম্ভব নয়।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ