ব্যক্তি বা দলের আদেশ মানবেন না
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ একতরফা নির্বাচনে কোনো ব্যক্তি বা দলের আদেশ না মানতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের প্রতি আহবান জানিয়েছে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। তাদের নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে বলেছে দলটি।
শনিবার সকালে এক ভিডিও বার্তায় দলের যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচনকে ভয় পায়। এ কারণে তারা একতরফা প্রহসনের নির্বাচন করতে চায়। আমরা নির্বাচন কমিশনকে আবারো আহবান জানাই, সরকারের তল্পিবাহক না হয়ে প্রহসনের এ নির্বাচন অবিলম্বে স্থগিত করুন।
প্রজাতন্ত্রের সব সম্মানিত কর্মকর্তা-কর্মচারিকে আহবান জানাই, আপনারা দেশের জনগণ এবং রাষ্ট্রের সেবক হিসেবে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করুন। কোনো ব্যক্তি বা দলের অবৈধ ইচ্ছা বা আদেশ পালনের হাতিয়ার হিসাবে আপনারা ব্যবহৃত হবেন না।
নির্দলীয় সরকারের দাবির এ আন্দোলনে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবানও জানান তিনি।
৭২ ঘন্টার অবরোধ কর্মসূচির শুরুর প্রথম দিনে সকালে সালাহউদ্দিন ভিডিও বার্তার মাধ্যমে দেশবাসীকে দলের এ অবস্থানের কথা তুলে ধরেন। ভোর ৬টা থেকে সারাদেশে রাজপথ-রেলপথ-নৌপথ অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেছে ১৮ দল।
তিনি বলেন, সরকারের একতরফা নির্বাচনে কমনওয়েলথ, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, জাতিসংঘসহ কোনো গুরুত্বপুর্ণ রাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সংস্থা পর্যবেক্ষক পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়নি। এমনকি নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত অধিকাংশ পর্যবেক্ষক সংস্থা ও সংগঠন পর্যবেক্ষণের জন্য আবেদন করেননি।
কেবল তাই নয়, একতরফা নির্বাচনে শিক্ষক সমাজের একটি বৃহৎ অংশ দায়িত্বপালনে অপরাগতা প্রকাশ করেছেন। এরপরও সেই একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য এ অবৈধ সরকার গোঁ ধরে বসে আছে।
একতরফা নির্বাচনের উদ্যোগের সমালোচনা করে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, জানা গেছে অবৈধ সরকারের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সাবেক মন্ত্রীসহ ৩৩ জন বিনা ভোটে নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। আরও ১০৩টি আসনে একক প্রার্থী হওয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে। কিছু আসনে কোনো প্রার্থীই নেই।
১৯৭৫ সালে সংসদে বাকশাল প্রতিষ্ঠার কথা উল্লেখ করে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আওয়ামী লীগ সব সময় নির্বাচনকে ভয় পায়। প্রধানমন্ত্রীর পিতা বাকশালী সংশোধনীর মাধ্যমে তৎকালীন সংসদকে পূনঃবার আরও এক বছর মেয়াদের জন্য নির্বাচিত হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। আওয়ামী লীগের সভানেত্রীও আইন জারি করে আরেকবারের জন্য এ সংসদকে বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন বলে ঘোষণা দিতে পারেন। তাতে অন্তত রাষ্ট্রীয় অর্থের অপচয় হবে না।