ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় টর্নেডোর আঘাতে প্রাণহানি ২০, আহত পাঁচ শতাধিক
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিনটি উপজেলায় গতকাল শুক্রবার ১৫ মিনিটের ভয়াবহ টর্নেডোর আঘাতে ১৫টি গ্রাম লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। নারী ও শিশুসহ নিহত হয়েছে অন্তত ২০ জন। আহত হয়েছে পাঁচ শতাধিক মানুষ। বোরো ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের উরশিউড়া গ্রামের ডলি রানী দে (৩০), একই ইউনিয়নের পাতিরহাতা গ্রামের লাভলী বেগম (৩০), সুমা আক্তার (৩২) ও জয়নাল মিয়া (৩৫); বাসুদেব ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামের মাহমুদুল হক (৩৮), একই পরিবারের সদস্য এমদাদুল বারী (৪০) ও একই বাড়ির আজমল হোসেনের (২৭) পরিচয় জানা গেছে। তাৎক্ষণিকভাবে নিহত ব্যক্তিদের সবার পরিচয় জানা যায়নি। আহত ব্যক্তিদের সদর হাসপাতাল ও শহরের বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
গাছ পড়ে থাকার কারণে ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট রেললাইনে ট্রেন চলাচল বিকেল পাঁচটা থেকে বন্ধ হয়ে যায়। উদ্ধারকর্মীদের তৎপরতায় রাত ১০টায় ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
গতকাল রাত পৌনে একটায় এই প্রতিবেদক পাঘাচং এলাকা ঘুরে দেখতে পান, সেখানে গাছপালা উপড়ে পড়েছে। বিদ্যুৎসংযোগ পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এলাকাটি প্রায় জনশূন্য হয়ে পড়েছে।
টর্নেডো বয়ে যাওয়ার পর জেলা প্রশাসক নূর মোহাম্মদ মজুমদার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পরিদর্শন শেষে তিনি ২০ জন নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছেন। এ সময় তিনি নিহত ব্যক্তিদের প্রতিটি পরিবারকে ২০ হাজার, আহত ব্যক্তির পরিবারকে পাঁচ হাজার টাকা সহায়তা, ২০ কেজি করে চাল এবং বসতঘর হারানো ব্যক্তিদের দুই বান্ডিল করে টিন দেওয়ার ঘোষণা দেন।