নোয়াখালীতে পুলিশ-শিবির সংঘর্ষে নিহত ৭

Police bgb fire protest পুলিশ বিজিবি গুলি হরতালরিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, নোয়াখালীঃ জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট বাজারে পুলিশের সঙ্গে জামায়াত-শিবিরের ব্যাপক সংঘর্ষে অন্তত সাতজন নিহত হয়েছেন। নিহত সবাই জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মী।

নিহতরা হলেন, সাইফুল ইসলাম, মতিউর রহমান, রাসেল, সজিব, বসুরহাট পৌরসভার রায়হানসহ ৭ জন। এসময় তিন পুলিশসহ ৩০ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। সংঘর্ষকালে সরকারি অফিসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা। শনিবার বিকেল ৪টা থেকে দফায় দফায় এ সংঘর্ষ চলছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার বিকেল ৪টার দিকে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কাদের মোল্লার ফাঁসির প্রতিবাদে বসুরহাট মডেল স্কুল এলাকা থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে জামায়াত শিবির। মিছিলটি বসুরহাট থানা সংলগ্ন হাসপাতাল সড়কের উপজেলা মসজিদের সামনে গেলে পুলিশ বাধা দিলে উভয়পক্ষে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়। এসময় পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে রাবার বুলেট ছোড়ে।  শিবিরের কয়েকজন নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হলে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই দুই শিবির কর্মী নিহত এবং ৩ পুলিশ কনস্টেবল গুলিবিদ্ধ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ারসেল, রাবার বুলেট, পিস্তল ও গুলি করলে জামায়াত-শিবিরের ৩০ জন নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়। পরে ক্ষিপ্ত শিবির কর্মীরা বসুরহাট কেন্দ্রীয় পোস্ট অফিস, উপজেলা সেটেলম্যান্ট অফিস, পরিবার পরিকল্পনা অফিস, আনসার ভিডিপি অফিস, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অফিস, ভূমি অফিস ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ করে। কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজিদুর রহমান জানান, পুলিশ উপজেলা জামে মসজিদের পেছন থেকে ৩ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে।

শহর শিবিরের সভাপতি নেয়ামত উল্ল্যাহ শাকের জানান, পুলিশের গুলিতে জামায়াত শিবিরের ৭ জন নেতাকর্মী নিহত এবং গুলিবিদ্ধসহ অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধসহ আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে, মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে তিনি জানান।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ