বিএনপিকেও আসন ছেড়ে দিতাম

সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, উনি (বেগম খালেদা জিয়া) নির্বাচনে আসেন নাই। যে কয়টা রাজনৈতিক দল সর্বদলীয় সরকারে এসেছে, আমরা তাদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছি। এ জন্যই এত একক প্রার্থী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা আমাদের সঙ্গে সর্বদলীয় সরকারে আছে, তাদের জন্যই প্রার্থী প্রত্যাহার করে নিয়েছি। বিএনপি এলেও এই প্রক্রিয়াই করতাম।

দশম সংসদ নির্বাচনে অর্ধেকেরও বেশি আসনে এক জন প্রার্থী থাকায় থাকায় তারা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন- এই প্রেক্ষাপটে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। শনিবার ফার্মগেটের খামারবাড়িতে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

এ সময় তিনি রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড আর ‘সহ্য’ করবেন না বলে বিরোধী দলকে হুঁশিয়ার করেন।

তিনি বেগম খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে বলেন, মানুষের জীবন নিয়ে খেলা বন্ধ করেন। জামায়াতকে নিয়ে তাণ্ডব চালাচ্ছেন। ভাবছেন, অনেক কিছু করে ফেলবেন। বাংলার মানুষ তা মেনে নেবে না। অনেক ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছি। মা-শিশুকে একসঙ্গে হত্যা করবেন। তা বসে বসে দেখাব না। তা সহ্য করব? এটা হয় না।

আওয়ামী লীগের এই আলোচনা সভায় যুদ্ধাপরাধী আব্দুল কাদের মোল্লার বিচারের রায় কার্যকরের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা রায় কার্যকর করেছি, বাকি রায় একের পর এক হবে।শান্তি পাচ্ছি, একটা হলেও রায় কার্যকর করতে পেরেছি। লাখো শহীদ, লাখো মা-বোনের শপথ, এই মাটিতেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করব।

শেখ হাসিনা বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আমাকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে হবে না। আমার কাছে ক্ষমতা ভোগের বিষয় না- যাকে দিয়ে যেখান থেকেই ফোন করান।

শেখ হাসিনা বলেন, আমার দুর্বলতা একটাই। সেটা হলো বাংলাদেশের জনগণ। বাংলাদেশের মানুষের জন্য যা করার করব, আমার বড় দুর্বলতা বাংলাদেশের জনগণ। যেটা ন্যায্য বলে মনে করবো- সেটাই করব। যত বাধাই আসুক না কেন, আমাকে আটকাতে পারবে না।

জামায়াতে ইসলামী অংশ নিতে পারবে না বলেই বিএনপি নির্বাচনে আসছে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, নির্বাচনে আসতে ইচ্ছা করে না, আসবেন না। জামায়াত আসবে না, উনি আসবেন না। খুন-খারাপি করবেন না। এর জবাব কিভাবে দিতে হয়, তা আমাদের জানা আছে।

তিনি বলেন, নিয়াজীর দোসর কেউ এ দেশের মাটিতে টিকতে পারবে না। বিএনপি নেত্রীর ওপর টিক্কা খানের, নিয়াজীর প্রেতাত্মা ভর করেছে। দেশবাসী সাবধান।

বুদ্ধিজীবী দিবসে আওয়ামী লীগের এই আলোচনা সভায় শহীদ সাংবাদিক সিরাজউদ্দিন হোসেনের ছেলে শাহিন রেজা নূর বক্তব্য রাখেন।শাহিন রেজা বলেন, এই ১৪ ডিসেম্বর আমাদের জন্য অন্য আবহ নিয়ে এসেছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা সকল চাপ উপেক্ষা করে ৪২ বছর আগের পাপাচারের বিচার কাজ সম্পন্ন করার কাজ শুরু করেছেন।

কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় সব শহীদ পরিবারের পক্ষ থেকে শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমদ, মতিয়া চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, আব্দুর রাজ্জাক ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম প্রমুখ।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ