নীলফামারীতে নূরের গাড়িতে হামলায় নিহত ৫
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, নীলফামারীঃ সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূরের গাড়িবহরে হামলায় পাঁচজন নিহত ও ৪০ জন আহত হয়েছেন। শনিবার বিকেল ৫টার দিকে সদর উপজেলার টুপামারী ইউনিয়নের রামগঞ্জ বাজারে এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নীলফামারী-২ (সদর) আসনের সাংসদ আসাদুজ্জামান নূরের গাড়িতে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে হামলা চালায় জামায়াত-শিবির কর্মীরা। এমপি নূরের গাড়িটি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তিনি অক্ষত আছেন। পরে সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে আসাদুজ্জামান নূর পুলিশ প্রহরায় শহরে প্রবেশ করেন।
নিহতরা হলেন, আবু বক্কর সিদ্দিক (৪২), খোরশেদ চৌধুরী (৫৫), ফরহাদ হোসেন (২৫), মুরাদ হোসেন (২০) ও খয়রাত হোসেন। গুরুতর আহত অবস্থায় জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ মাহমুদকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদের মধ্যে আবু বক্কর সিদ্দিক ও খয়রাত হোসেনকে শিবিরের কর্মী বলে জেলা জামায়াতের আমির আল ফারুক দাবি করেছেন। নিহত ব্যক্তিদের বাকি তিনজন আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের কর্মী। গুলি ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তারা নিহত হয়েছেন বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন।
জেলা কৃষক লীগের সভাপতি অক্ষয় কুমার রায়ের দাবি, বিনা উসকানিতে জামায়াত-শিবির হামলা চালানোয় তাদের কর্মীরা নিহত হন।
জামায়াত-শিবিরের সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত জেলা সদরের পলাশবাড়ি লক্ষ্মীচাপ রামগঞ্জ ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় পথসভা করতে শনিবার সকালে সেখানে যান সাংসদ নূর। পথসভা শেষে বিকেলে জেলা শহরে ফেরার পথে রামগঞ্জ সেতুর কাছে তার গাড়িতে হামলা চালায় জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা। এ সময় চারদিক থেকে হামলাকারীরা গাড়িতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। একপর্যায়ে লাঠিসোঁটা নিয়ে পুরো এলাকা ঘেরাও করে হামলা চালাতে থাকে তারা। জবাবে পুলিশ টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছুঁড়ে সাংসদ নূরকে সেখান থেকে উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় ১৮ দল ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।