সাতক্ষীরায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে নিহত ৫
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, সাতক্ষীরাঃ সাতক্ষীরায় পুলিশ বিজিবির সঙ্গে জামায়াত শিবিরের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে পুলিশের গুলিতে ৫ জামায়াত কর্মী নিহত হয়েছে। এর মধ্যে দেবহাটার পদ্মশাকরায় দুইজন, সফিপুরে দুইজন এবং সদরের সাতানিয়ায় একজন নিহত হয়েছেন। সাতানিয়ায় নিহত জামায়াত কর্মী হলো সদর উপজেলার সাতানি গ্রামের আব্দুল আহাদের ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন (২৫)।
সোমবার ভোর রাতে সদরের আগরদাড়ি সড়কে এই সংঘর্ষ হয়। এছাড়া ভোমরা ও দেবহাটার পারুলিয়ায় বিএনপি জামায়াতের কমপক্ষে ২০টি বাড়ি ভাঙচুর করেছে যৌথ বাহিনী। গুলিবিদ্ধ হয়েছে ভোমরা এলাকার শাকরা বাজারের নৈশ প্রহরি আয়নুল ইসলাম(৪০)।
রোববার রাত ১০টার দিকে একযোগে জেলার একাধিক স্থানে পুলিশ-বিজিবির সমন্বয়ে জামায়াত ও বিএনপি দমনে অভিযান শুরু করে যৌথ বাহিনী। বাহিনীর সদস্যরা আগরদাড়ি এলাকায় প্রবেশ করতে চাইলে সড়কে গাছের গুড়ি ফেলে ও সড়ক বিচ্ছিন্ন করে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে স্থানীয়রা। পুলিশ সড়কে ফেলা গাছের গুড়ি সরিয়ে সামনে যেতে চাইলে তারা বাধা দেয়। এসময় পুলিশ গুলি করলে এক জন গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। পুলিশ রাতভর অভিযান চালিয়ে সকালে সদরের কাতনদা এলাকায় সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল খালেকের বাড়ি ঘিরে ফেলে। তাকে না পেয়ে তার বাড়িঘর ভাঙচুর করে। এতে ক্ষিপ্ত জনতা রাজপথে এসে প্রতিবাদ জানায়।
রাত ১২টার দিকে সদরের ভোমরা এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ বিজিবি। বাহিনীর সদস্যরা স্থানীয় বিএনপি নেতা নুর ইসলামের বাড়ি ভাঙচুর করে। একই সময়ে বিএনপি জামায়াত সন্দেহে কোমরপুর চৌধুরিপাড়া এলাকার ,মুসা,বাবরি এবং বাদেল জেলের বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। ভাঙচুর করা হয় মনোয়ার হোসেনের বাড়ি ঘর। স্থানীয়রা জানান, স্থানীয় আ.লীগ নেতারা এসব বাড়িঘরে হামলা চালাতে পুলিশ বিজিবিকে সহযোগীতা করে।
সকাল ৬টার দিকে যৌথবাহিনির এ গ্রুপটি দেবহাটার পারুলিয়া ও সখিপুর এলাকায় অভিযান চালায়। তারা উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাকিল এর বাড়ি ভাঙচুর করেছে। ভাঙচুর করেছে পারুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বর আব্দুল গফফর এবং তার ভাই বর্তমান মেম্বর রফিকুল ইসলামের বাড়ি।
সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার জানান, সন্ত্রাসী, দুর্বৃত্তরা কোনো দলের না। তাদের প্রতিহত করতে সকলের সহযোগীতা দরকার। যারা সড়কে গাছ ফেলে ও সড়ক বিছিন্ন করে জনগণের প্রতিবন্ধকা সৃষ্টি করতে চায় তাদের কঠোর হস্তে দমন করা হবে।
তিনি বলেন, অভিযান চলছে অভিযান চলবে। সাতক্ষীরাকে শান্ত না করা পর্যন্ত তাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।