শেখ হাসিনা ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছেন
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ শেখ হাসিনা দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে হাসিনা আজ এমন গণতন্ত্র উপহার দিয়েছেন যে দেশে নির্বাচনের আগেই ১৫৪ জন বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়ে গেছেন।
সোমবার সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে ‘বিজয়ের মাসে বন্দি গণতন্ত্র ও বিপন্ন মানবতা’ -শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, দেশের সাধারণ জনগণের জন্য সরকারের কোনো সহমর্মিতা নেই। আওয়ামী লীগ একটি স্বৈরাচারী দল। অতীতেও তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে, এখন আবারও হরণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আজ দেশের এই দুরবস্থার মূল কারণ আওয়ামী লীগ সরকার।
তিনি বলেন, দেশের গণতন্ত্র রক্ষার জন্য একাত্তরে যুদ্ধে গিয়েছিলাম, আবারও যদি ডাক আসে আমরা প্রস্তুত আছি। মাতৃভুমির ডাকে আবার সাড়া দেব। মুক্তিযোদ্ধাদের যুদ্ধ এখনও চলছে বলেও মন্তব্য করেন হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কমনওয়েলথ, যুক্তরাষ্ট ও বিদেশী বন্ধুরা এই একতরফা নির্বাচন বয়কট করেছে। তারা নির্বাচনের জন্য কোনো পর্যবেক্ষক পাঠাবেন না।
আমরা মনে করেছিলাম শেখ হাসিনার সরকারের কোনো লজ্জা নাই, কিন্তু শেষ পর্যন্ত দেখলাম তাদের একটি বিষয়ে লজ্জা আছে। বর্তমান মন্ত্রী-এমপিদের সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৮০০ গুণ পর্যন্ত বেড়েছে। এটা প্রকাশের পর মহিউদ্দিন খান আলমগীর লজ্জা পেয়ে নির্বাচন কমিশনে তথ্য আর প্রকাশ না করার জন্য আবেদন করেছেন।
সংলাপ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকার নতুন ইস্যু তৈরি করতে চায়, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনই হয়নি, এখন তারা একাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করতে চায়।
তিনি আরও বলেন, আজ যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারক বাহক বলে নিজেদের দাবি করেন, তারা মুক্তিযুদ্ধই করেনি। মুক্তিযুদ্ধ কী তাও জানে না।
সংগঠনের সভাপতি ইসতিয়াক আজিজ উলফার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. পিয়াস করীম, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ ইব্রাহিম বীর বিক্রম প্রমুখ।