সুপ্রিমকোর্টে আইনজীবীদের ওপর আ’লীগের হামলা
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ রোববার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বহিরাগতদের হামলার প্রতিবাদে সোমবার সকাল ১১টায় প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সমাবেশ করবে বিএফইউজে। রোববার বিকালে প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএফইউজের সভাপতি রুহুল আমীন গাজী এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
এ সময় তিনি বলেন, আজকে প্রেস ক্লাবে হামলা হয়েছে, সুপ্রিমকোর্টে হামলা হয়েছে। এমনকি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ওপর হামলা হয়েছে। আমরা এই সব হামলার তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। একইসঙ্গে সোমবার বেলা ১১টার মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। আমাদের দাবি না মানলে আরো বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (একাংশের) মহাসচিব শওকত মাহমুদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (একাংশের) সভাপতি আব্দুল হাই শিকদার, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গির আলম প্রধান, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান প্রমুখ।
তিনি বলেন, সবার কাছে গ্রহণযোগ্য সব দলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটি নির্বাচনের মাধ্যমে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসলেও আমাদের আপত্তি নেই। আমরা মুক্ত গণমাধ্যম, বন্ধ গণমাধ্যম খুলে দেওয়া, সাগর-রুনির হত্যার বিচার, মাহামুদুর রহমানের মুক্তির দাবিতে সমাবেশ করছিলাম। প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা সকাল থেকে এখানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেছেন, আপনারা বহিরাগতদের নিয়ে এসেছেন। আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলেছি কোনো বহিরাগত এখানে আসেনি।
তিনি বলেন, সকালে আমাদের সমাবেশ চলছিল। বিনা কারণে একটি সশস্ত্র মিছিল থেকে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে তারা হামলা করে। মাইক ভেঙে ফেলে, সমাবেশের চেয়ার ভাঙে। তাদের হামলায় ৪০ জন সাংবাদিক আহত হয়। এর আগে সকালে প্রেসক্লাবের সদস্যদের এসি নোমান জাতীয় চোর বলেছেন। এই অফিসারের অপসারণ দাবি করছি। চারবার আমাদের ওপর হামলা করা হয়েছে। পুলিশ নীরব ছিল। তাদের কাছে সহযোগিতা চাওয়া হলেও তারা কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেয়নি। আমরা আশা করেছিলাম নিরাপত্তা বাহিনী হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। কিন্তু তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
এ সময় রুহুল আমীন গাজী বলেন, বন্ধ গণমাধ্যম যত দিন খোলা না হবে, সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধ না হবে, মাহামদুর রহমান মুক্ত না হবে, সাগর রুনির হত্যাকারীর বিচার না হবে ততদিন আমাদের আন্দোলন চলবে।
তিনি বলেন, তিনবারের প্রধানমন্ত্রীকে বাসভবনে আটকে রাখা হয়েছে। এমনকি মিডিয়ার সঙ্গেও কথা বলতে দেওয়া হয়নি। এই ঘটনা ন্যক্কারজন।
শওকত মাহমুদ বলেন, প্রেস ক্লাবের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ইকবাল সোবহান এখন বহিরাগত। প্রেসক্লাব গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সুতিকাগার। এখান থেকেই সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সূচনা হয়েছে। এখন গণতন্ত্র বন্দী হয়ে পড়েছে। গণতন্ত্র উদ্ধারের জন্য এই প্রেসক্লাব থেকেই আন্দোলন হবে। এই সরকার গণমাধ্যমবিরোধী সরকার। নির্বাচনের সময় স্বাধীনমত প্রকাশের সুযোগ না থাকলে সুষ্ঠ নির্বাচন হতে পারে না।
অন্যদিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ বলেছেন, প্রেস ক্লাবে হামলার এমন ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি। পুলিশের ছত্রছায়ায় আওয়ামী লীগের ক্যাডাররা এ হামলা চালিয়েছে।
তিনি জানান, ওই ঘটনায় আইনগত কী ব্যবস্থা নেওয়া যায় সে ব্যাপারে সোমবার বৈঠক করবে প্রেস ক্লাবের নির্বাহী কমিটি।