স্বস্তিতে নেই ১৪ দল

সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ ব্যাপক প্রাণহণি ও ধ্বংসযজ্ঞের মধ্যেও ঢাকঢোল পিটিয়ে শুধু নির্বাচন অনুষ্ঠানের কৃতিত্ব প্রচার করলেও স্বস্তিতে নেই ১৪ দল ।তাদের মধ্যে চরম অস্বস্তি বিরাজ করছে। নতুন সরকারের পথ চলা নিয়ে তারাও শঙ্কিত। বিতর্কিত নির্বাচনের জন্য তারা বিরোধী দলকে দায়ী করছেন। আবার কেউ দায়ী করছেন সরকারকে।

১৪ দলের নেতারা অভিযোগ করেন,বিরোধীদল নির্বাচন বর্জন করেই ক্ষান্ত হয়নি। নির্বাচন প্রতিহত করতে ব্যাপক সহিংসতা চালিয়েছে। তারা ভোটকেন্দ্রে আগুন দিয়েছে। ব্যালট বাক্স ছিনতাই করেছে। প্রিজাইডিং অফিসরাকে হত্যা করেছে।নির্বাচনে প্রতিহত করতে দিনের পর দিন অবেরোধ চালিয়েছে ।অবরোধের পাশাপাশি হরতাল দিয়েছে।এ কারণে অবাস ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন বাধাগ্রস্ত হয়।

তবে কোনো কোনো নেতা বলছেন ভিন্ন কথা।তাদের কথা সরকার এ নির্বাচন না করলেই ভাল হতো। শুধু বিরোধী দলকে দায়ী করলেই হবে না। আওয়ামী লীগকেও এর দায়-নিতে হবে। নূতন সরকারকে কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে।আজ বহির্বিশ্ব আমাদের কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। এতে ১০ম সংসদ আরও কোনঠাসা হয়ে পড়বে।

আগামী সরকার নিরাপদে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে পারবে কি-না জানতে কিনা চাইলে ১৪ দলের শরীক গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক নূর-উর-রহমান সেলিম এবিসি নিউজ বিডিকে বলেন, দেশে সৃষ্ট সহিংসতার জন্য শুধু বিরোধী দলকে দায়ী করলে হবে না। এর দায় আওয়ামী লীগকেও নিতে হবে।অন্যদিকে বিরোধী দলের হরতাল-অবরোধে অর্থনীতি আরও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। নতুন সরকার সে ক্ষতি কতটুকু পূরণ করতে পারবে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।

১৪ দল নেতাদের উৎকন্ঠা্ বিরোধী দল নতুন সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে চাইবে।দেশেকে অকার্যকর করতে চাইবে। এতে সাময়িক সমস্যা হলেও সরকার তা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করবে।বিরোধী দলের সঙ্গে আসছে নতুন সরকার সমঝোতার সব ধরনের চেষ্টা করবে ।একাদশ সংসদ নির্বাচন পরিচালনার প্রথা-পদ্ধতি প্রণয়নে নতুন সরকার যথেষ্ট গুরুত্ব দেবে।

ওয়াকার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক এ আর মল্লিক এবিসি নিউজ বিডিকে জানান, দেশের অর্থনীতি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দেশ চরম অনিশ্চয়তার পথে। দেশকে অস্থিতিশীল করতে বিরোধী দল নির্বাচনের পরও হরতাল -অবরোধ চালিয়ে যাবে।

তিনি বলেন,নির্বাচন হয়েছে। সরকারও গঠিত হবে। সেই সরকারকে চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে দিয়ে হাটতে হবে। আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন প্রআইমনিউজ.কম.বিডিকে বলেন, অনিশ্চয়তা আর ঝুঁকির মধ্যেই আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা। বিরোধী দলের নাশকতার মধ্যেও আ্ওয়ামী লীগ নির্বাচন করতে পেড়েছে। সব ঝুঁকি ও অনিশ্চয়া মোকাবেলা করেই সরকার দেশকে এগিয়ে নেবে।

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের(জাসদ)সাধারণ সম্পাদক শরীফ নুরুল আম্বিয়া এবিসি নিউজ বিডিকে বলেন,সরকারকে অস্থিতিশীল করতে বিরোধী দলের তৎপরতা নির্বাচনের পরও চলছে। তারা নতুন সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে চাইবে। তবে আমরা সবার অংশগ্রহণে নির্বাচনকে গুরুত্ব দিচ্ছি। নতুন সরকারের দায়িত্ব হবে বিরোধী দলের সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমে একাদশ সংসদের নির্বাচন পরিচালনার সরকার পদ্ধতি প্রণয়ন করা।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ