বিএনপির ৭ নেতাকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ বিভিন্ন মামলায় বিএনপির শীর্ষ স্থানীয় সাত নেতার রিমান্ড ও জামিন শুনানি নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
একইসঙ্গে আগামি ৭ কার্যদিবসের মধ্যে তাদের জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালত নির্দেশ দিয়েছেন। এর মধ্যে সাদেক হোসনে খোকাকে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
তবে বিএনপির সহ-সভাপতি মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদের রিমান্ড ও জামিন শুনানি অনুষ্ঠিত হয় নি। তার শুনানি ২১ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকার মহানগর হাকিম মিজানুর রহমান ও অমিত কুমার দে বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় এ আদেশ দেন।
আসামিপক্ষে শুনানি করেন প্রবীণ আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল হক। তিনি আদালতকে বলেন, ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে আসামিদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগগুলোর সঙ্গে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।’
এর আগে সকাল ১০টায় গাজিপুরের কারাগার থেকে তাদের আদালতে হাজির করা হয়। বেলা ১১টার দিকে রিমান্ড শুনানি শুরু হয়।
বিভিন্ন মামলায় বিএনপির শীর্ষ স্থানীয় আট নেতার ৫৭ দিনের রিমান্ড চেয়েছিলো পুলিশ।
মতিঝিল থানার পৃথক তিন মামলায় আসামি হলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, এম কে আনোয়ার, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুল আওয়াল মিন্টু ও খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী শিমুল বিশ্বাস।
অপরিদিকে মতিঝিল থানার অপর দুই মামলায় বিএনপির সহ-সভাপতি মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ ও ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনকে আসামি করা হয়ছে।
এছাড়া মোহাম্মদপুর থানার অপর একটি মামলায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।
মওদুদ, রফিকুল, মিন্টু আনোয়ার ও শিমুল বিশ্বাসের মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ৫ মে হেফাজতের মহাসমাবেশের দিন ১৮দলীয় জোটের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগীতায় মতিঝিল থানার উপপরিদর্শক এসআই শাহজাহানকে হত্যা করে অজ্ঞাত আসামিরা। এ সময় আসামিরা ওই পুলিশের অস্ত্র চুরি করে নেয়। আসামিরা মতিঝিল এলাকায় পুলিশের উপর আক্রমন, পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ঘটায়। এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করতে এ পাঁচ নেতার রিমান্ড জরুরি বলে দাবি করে পুলিশ।
অরদিকে মেজর হাফিজউদ্দিন ও খোকনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়, আসামিদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্ররোচনায় গত ২৪ সেপ্টেম্বর কমলাপুর এলাকায় অজ্ঞাত আসামিরা ককটেল বিস্ফোরণ, পুলিশের উপর আক্রমন ও গাড়ি ভাঙচুর করে। এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করতে তাদের রিমান্ডে নেওয়া জরুরি বলে জানায় পুলিশ।
খোকার বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়, পুলিশের কর্তব্য কাজে বাধা, ককটেল বিস্ফোরণ ও নাশকতার চেষ্টা করেছেন তিনি।