যত কঠোর হওয়া দরকার তত কঠোর হব
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উদ্দেশ্যে বলেছেন, অনেক খেলা দেখালেন, এবার বন্ধ করেন। আর যদি জ্বালাও-পোড়াও এবং মানুষ হত্যা বন্ধ না করেন, তাহলে কীভাবে বন্ধ করতে হয় তা আমরা জানি। দেশের শান্তি স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে যত কঠোর হওয়া দরকার তত কঠোর হব।
খালেদা জিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আর মানুষ হত্যা করবেন না। আপনার কিছু বলার থাকলে আমাদের সঙ্গে আলোচনা করুন। আলোচনার মধ্যে সমস্যার সমাধান হবে।
শুক্রবার বিকেলে সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত জনসভায় তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং এগিয়ে যাবে উল্লেখ করে তিনি খালেদা জিয়াকে বলেন, কয়েকটা রাজাকার নিয়ে চলার পথ বন্ধ করতে পারবেন না। আপনি বলেছিলেন, আমি নাকি কখনো বিরোধী দলের নেতা হতে পারব না।
তিনি বলেন, কিন্তু উনি কোনো গালি দিলে তা আমাদের আশীর্বাদ হয়ে আসে। এখন উনার ক্ষেত্রেই এই কথা প্রযোজ্য হয়েছে।
যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, যুদ্ধাপরাধের বিচার চলছে এবং চলবে। বিচারের রায় বাস্তবায়ন করে বাংলাদেশকে কলঙ্কমুক্ত করা হবে।
নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যুদ্ধপরাধী জামায়াত এবার নির্বাচনে অংশ নিতে পারেনি। যে কারণে দেশ ও জাতি কলঙ্কমুক্ত হয়েছে।
শেখ হাসিনা অভিযোগ করে বলেন, খুনীদের রাষ্ট্রদূত আর যুদ্ধপরাধীদের মন্ত্রী পরিষদের সদস্য করেছিলেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জেনারেল জিয়াউর রহমান। এছাড়া ক্ষত-বিক্ষত করা হয় সংবিধানকে। আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু শত ষড়যন্ত্রের মধ্যেও আওয়ামী লীগ সুসংগঠিত রয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৮ সালে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতার মাধ্যমে সরকার গঠনের পর যুদ্ধপরাধীদের বিচার শুরু করা হয়। জঙ্গিবাদ দমনসহ দেশকে অর্থনৈতিকভাবে উন্নয়ন, দুর্নীতি হ্রাস ও সন্ত্রাসবাদ বন্ধ করা হয়। এছাড়া দেশের প্রতিটি মানুষের দোড়গোড়ায় স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে দেশে স্বাক্ষরতার হার ৭১ শতাংশ বলে উল্লেখ করেন তিনি।
আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, তার নেতৃত্বে সরকার গঠনের পর দেশের মানুষের মধ্যে শান্তি ছিল। কিন্তু তার আগে বিএনপি-জামায়াত জোট আমলে মানুষের মধ্যে শান্তি ছিল না। বিএনপি-জামায়াত জোটের সময় দেশে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। ঘুমন্ত চালককে পুড়িয়ে মারা হয়।
আর বর্তমান অবস্থায় অশান্তি বেগম জিয়ার হাত থেকে গরুরাও রক্ষা পায়নি বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তার সরকারের আমলে বিভিন্ন উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, বিদ্যুৎ খাতে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। এর আগে বিদ্যুতের জন্য দেশে হাহাকার ছিল। সেখান থেকে আমরা দেশকে মুক্ত করেছি।
সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।