লজ্জায় আ’লীগের মুখ লুকানো উচিত
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, `বাংলাদেশের গণতন্ত্র হুমকির সম্মুখিন বলে জাতি আজ বিশ্বের কাছে লজ্জিত। আর এজন্য আওয়ামী লীগের লজ্জিত হওয়া উচিত, সংকোচে তাদের মুখ লুকানো উচিত।’
সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘একদলীয় অবৈধ ও প্রহসনমূলক নির্বাচন বাতিল এবং জাতীয় নেতৃবৃন্দের মুক্তির দাবি’ শীর্ষক প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয়তাবাদী মহিলা দল এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
এমাজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আর গণতন্ত্র দুটি বিপরীত মেরু। আওয়ামী লীগের কাছে গণতন্ত্র কখনও নিরাপদ ছিল না, আজও নেই। আর গত ৫ জানুয়ারি একদলীয় নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রকে বাংলাদেশ থেকে নির্বাসিত করেছে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে এখন ফ্যাসিবাদী, একদলীয় রাষ্ট্র। আর এই জন্য একমাত্র দায়ি হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। কারণ তার নির্দেশেই গত ৫ জানুয়ারি একদলীয় ভোটবিহীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। যার ফলে বাংলাদেশে আজ একটি ফ্যাসিস্ট সরকারের হাতে জিম্মি।’
মহিলা দলের উদ্দেশে এমাজ উদ্দিন আহসেমদ বলেন, ‘এই লজ্জা আপনাদেরই সরাতে হতে। আর যদি এই সরকার স্বেচ্ছায় যেতে না চায় তাহলে অপনাদের আরও কঠোর থেকে কঠোরতর হতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘৫ জানুয়ারি পর থেকে দেশে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা চলছে। ৫ জানুয়ারি পর থেকে বাংলাদেশে কোনো গণতন্ত্র নেই।’
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে এমাজ উদ্দিন বলেন, ‘জনগণের দাবির কাছে মাতা নত করুন। কারণ এ দেশ আমাদের মায়ের মত। এদেশের জন্য ৩০ লাখ মানুষ প্রাণ দিয়েছেন। ফলে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য আপনি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠ নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। এখনও সময় আছে, নিজের জিদকে দূরে ঠেলে দিয়ে গণতন্ত্র রক্ষায় জন্য সংলাপ ও সমঝোতার মধ্যে দিয়ে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন।’
সরকার র্যাব ও যৌথবাহিনীকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (একাংশ) সভাপতি রুহুল আমীন গাজী বলেন, ‘সরকার র্যাব ও যৌথবাহিনীর সদস্যদের দিয়ে দেশে হত্যাযজ্ঞ সৃষ্টি করছে। পক্ষান্তরে আওয়ামী লীগ সরকার নির্লজ্জভাবে এই হত্যাকাণ্ডের দায়ভার চাপিয়ে দিচ্ছে বিরোধী দলের ওপর।’
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘আপনি ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য একটি ভোটারবিহীন নির্বাচন করেছেন। তবে ক্ষমতা যতই ধরে রাখার চেষ্টা করেন না কেন, আপনি ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না। কারণ বাংলাদেশের মানুষ কখনও একদলীয় ও বাকশালের শাসন ব্যবস্থা মেনে নেইনি। আপনাকেও মেনে নেবে না। ফলে আপনার পতন এখন সময়ের ব্যাপার।’
সংগঠনের সভাপতি নূরে আরা সাফার সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য হালিমা আরলি, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শিরীন সুলতানা প্রমুখ।