বলিষ্ঠ নেতা ছিলেন জিল্লুর রহমান:প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভনেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ওয়ান ইলেভেন পরবর্তী সময়ে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরে আসে। খবর বাসসের।
তিনি বলেন, ২০০৪ সালের একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আইভি রহমানের মৃত্যুর পর জিল্লুর রহমান অত্যন্ত ভেঙ্গে পড়লেও দেশের সংকটকালে তার বলিষ্ঠ ভূমিকা না থাকলে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হতো না।
শনিবার সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভার সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী।
সভানেত্রীর বক্তব্যের পরেই প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সভা মুলতবি ঘোষণা করা হয়। এর আগে দলের পক্ষ থেকে সর্বসম্মতিক্রমে একটি শোক প্রস্তাব গৃহীত হয়।
শোক প্রস্তাবটি পাঠ করেন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক গৃহায়ন ও পূর্ত প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আবদুল মান্নান খান। এ সময় সবাই দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, জিল্লুর রহমান আওয়ামী লীগের একজন বলিষ্ঠ নেতা ছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতাসহ প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
রাষ্ট্রপতি হিসেবেও তার ওপর অনেক দায়িত্ব ন্যাস্ত ছিলো উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রতিটি ক্ষেত্রেই তিনি একজন বিজ্ঞ রাষ্ট্র পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার অবস্থান এমন এক জায়গায় এসে পৌঁছেছিলো যে, তিনি বাংলাদেশের একজন অভিভাবক হিসেবে নিজকে স্থান করে নিতে পেরেছিলেন।
নির্বাচন কমিশন গঠনে জিল্লুর রহমানের অবদানের কথা স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, সবার মতামত নিয়ে এবং তাদের বক্তব্য গ্রহণ করে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছিলেন।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে সবসময় ঘাত-প্রতিঘাত এসেছে এবং সবকিছুতে জিল্লুর রহমানের অবদান স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত রাষ্ট্রপতির স্মৃতিচারণ করে তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা এবং তার আত্মার মাগফিরাত কামনা ও পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান।