হামলায় জড়িতদের একজনও রেহাই পাবে না
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, সাতক্ষীরাঃ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড আমরা চিরদিনের জন্য শেষ করব। যারা হামলায় জড়িত একজনও রেহাই পাবে না। আপনারা নিজেদের শক্তি নিয়ে দাঁড়ান প্রশাসন আপনাদের পাশে আছে। আমরা পাশে আছি।
সোমবার সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির নেতা নির্বাচন করেননি। কারণ হলো জামায়াতের নির্বাচন করা হাইকোর্ট নিষিদ্ধ করেছেন। জামায়াতের ব্যথায় ব্যথিত হয়ে খালেদা জিয়া নির্বাচন বর্জন করেছেন। শুধু তাই নয় তিনি নির্বাচনে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। নির্বাচনের আগে ও পরে হরতাল, অবরোধ দিয়েছেন। মানুষের আয়ের পথ বন্ধ করেছেন। মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছেন।
বিএনপির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপির রাজনীতি দুর্নীতির রাজনীতি, সন্ত্রাসের রাজনীতি।এক সময় দেশে স্লোগান প্রচলিত ছিল যে ‘বিএনপির দুই গুন, দুর্নীতি আর মানুষ খুন।’ তিনি অভিযোগ করে বলেন, এখন তাদের দোসর হলো জামায়াত-শিবির। একাত্তরে যারা গণহত্যা, নির্যাতন ও নিপীড়ন চালিয়েছিল তারা হয়েছে বিএনপির দোসর।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে এক অশান্তি বেগম আছেন। উনি মানুষের শান্তি দেখতে পারেন না। উনি নির্বাচন ঠেকানোর চেষ্টা করেও পারেননি। নিজে ব্যর্থতার আগুনে পুড়ে মরছেন। সেই আগুনে দেশের মানুষকেও পোড়াচ্ছেন।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষ ভিক্ষা করবে না। আমরা রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছি। মাথা উচু করেই বাঁচবো।
এর আগে বেলা সোয়া একটায় হেলিকপ্টারে করে শেখ হাসিনা সাতক্ষীরায় পৌঁছান। এরপর আড়াইটা থেকে তিনি সাতক্ষীরা সার্কিট হাউসে জামায়াত-শিবিরের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। সেখান থেকে প্রধানমন্ত্রী সাতক্ষীরা সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয় মাঠে গিয়ে আশাশুনিতে এতিম ছেলেমেয়েদের জন্য কারিগরি প্রশিক্ষণকেন্দ্র, কপোতাক্ষ নদ পুনঃখনন, তালা উপজেলার পাখিমারা বিলে টিআরএম কাজসহ সাতটি কাজের উদ্বোধন এবং পৌরসভার পানি শোধনাগার, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ নির্মাণ প্রকল্পসহ চারটি উন্নয়নকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।