জাবির ছাত্রলীগ নেতা শিক্ষককে পেটালো
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ এবার বিশ্ববিদ্যালয়েরর শিক্ষককে পেটালো ছাত্রলীগের এক নেতা। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের এক নেতার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ করেছেন লাঞ্ছিত শিক্ষক নিজেই।
অভিযোগকারী শিক্ষক হলেন নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক গোলাম মঈনুদ্দীন। যার বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই মামুন খান ওই বিভাগেরই শিক্ষার্থী। তিনি ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক।
ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার বিকালে সমাজ বিজ্ঞান ভবনের নিচতলায়। অভিযুক্ত মামুন গোলাম মঈনুদ্দীনের উপর চড়াও হয় বলে জানিয়েছেন তিনি। ওই ভবনের তৃতীয় তলায় নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সরকার ও রাজনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাজেদুর রহমান বলেন, ভবনের নিচে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে দেখি হঠাৎ করে পেছন দিক থেকে এসে মামুন খান অধ্যাপক মঈনুদ্দীনকে কিল-ঘুষি মারছে।
আহত শিক্ষক মঈনুদ্দিন ঘটনার পরেই প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। ওই সময় তার কপালে ক্ষতচিহ্নও দেখা গেছে।
তবে শিক্ষক পেটানোর অভিযোগ অস্বীকার করে ছাত্রলীগ নেতা মামুন সাংবাদিকদের বলেন, আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে অবস্থান করছি, শিক্ষকরা আমাকে নিয়ে অযথা রাজনীতি করছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ন্যূনতম যোগ্যতা না থাকায় মাস্টার্সের দ্বিতীয় সেমিস্টারের পরীক্ষায় অংশ নিতে না পেরে গত বছরের সেপ্টেম্বরে পরীক্ষার দিন বিভাগে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন মামুন। তখন কয়েকজন শিক্ষার্থীর প্রবেশপত্র ছিনিয়েও নিয়েছিলেন তিনি।
শিক্ষক পেটানোর ঘটনা জানতে চাইলে প্রক্টর অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, শিক্ষকের ওপর হামলার বিষয়ে রাতে শৃঙ্খলা কমিটি বৈঠকে বসবে। দ্রুত ব্যবস্থা নিতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ আমরা।
মারধরের ঘটনা শুনে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অজিত কুমার মজুমদারের নেতৃত্বে শতাধিক শিক্ষক সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের সামনে জড়ো হয়ে প্রতিবাদ জানান।
শিক্ষকের ওপর হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে প্রগতিশীল শিক্ষকদের মোর্চা ‘শিক্ষক মঞ্চ’র নেতা অধ্যাপক নাসিম আখতার হোসাইন বলেন, এ ধরনের দুর্বৃত্তপনা সহ্য করা উচিত নয়, পদক্ষেপ নিতে বলেছি সংশ্লিষ্টদের।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুর রহমান তার কমিটির প্রকাশনা সম্পাদকের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষীয় ব্যবস্থা মেনে নেবেন বলে জানিয়েছেন।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, দোষী প্রমাণিত হলে মামুন খানের বিরুদ্ধে প্রশাসন যে ব্যবস্থা নেবে আমরা মেনে নেব।