চেয়ারম্যানরা পদে থেকেই নির্বাচন করতে পারবেন

সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিব উদ্দিন আহমদ জানিয়েছেন, স্বপদে থেকেই উপজেলা চেয়ারম্যানরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।

তিনি জানান, এ নির্বাচন কোনো দলীয় নির্বাচন নয়। তাই এই নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে। কোনো প্রার্থী এই নির্বাচনে আগে ও পরে নির্বাচনী আইন লঙ্গন করলে ছাড় দেওয়া হবে না।

বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টায় নির্বাচন কমিশনের মিডিয়াসেন্টারে দ্বিতীয় দফায় চর্তুথ উপজেলা পরিষদের ১১৭টি উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণাকালে এসব কথা বলেন তিনি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যানরা স্বপদে থেকেই নির্বাচন করতে পারবেন। তবে নির্বাচনী কাজে সরকারি সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারবেন না।

১১৭টি উপজেলা নির্বাচনে ২৭ ফেব্রুয়ারি ভোট।  মনোনয়ন দাখিলের শেষ সময় ২ ফেব্রুয়ারি, বাছাই ৪ ফেব্রুয়ারি ও প্রত্যাহারের শেষ সময় ১১ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে বলে সিইসি জানান।

কাজী রকিব বলেন, ২০০৯ সালের উপজেলা নির্বাচনের সময়ও সেনা বাহিনীর সহায়তায় নির্বাচন হয়েছে। এবারও সেনা সহায়তায় নির্বাচন হবে। তাছাড়া সম্প্রতি হয়ে যাওয়া দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যে সহিংসতা হয়েছে, তা থেকে আমরা তীক্ততা গ্রহণ করেছি। শুধু সেনা সদস্য নয় সশস্ত্রবাহিনীর অন্যান্য সদস্যরাও মোতায়েন থাকবে। তবে তারা স্ট্রাইকিং ফোর্সের দায়িত্বে থাকবে।

সশস্ত্রবাহীনীর পাশাপাশি বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও নির্বাচনী মাঠে থাকবে।

তিনি আরো বলেন, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যে সহিংসতা হয়েছে এর পুনারবৃত্তি ঘটবে না উপজেলা নির্বাচনে।

রকিব আরো জানান, দুপুরে কমিশন সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া আইন শৃঙ্খলা বৈঠকেও একই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

এদিকে  উপজেলা নির্বাচনে কতদিন সেনামোতায়েন থাকবে এই বিষয়ে সিইসি কোনো তথ্য না দিতে পারলেও, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখা থেকে জানা গেছে, ভোটগ্রহণের আগে-পরে মোট পাঁচ দিনের জন্য মাঠে থাকবে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা। গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে মোতায়েন করা হবে অতিরিক্ত পুলিশ, অঙ্গীভূত আনসার ও গ্রাম পুলিশ। সাধারণ ভোটকেন্দ্রে ২১ জন ও গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ২৫ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হবে। এ ছাড়া উপকূলবর্তী জেলাগুলোতে এবং বিশেষ এলাকাসমূহে (পার্বত্য এলাকা, দ্বীপাঞ্চল ও হাওড়) সাধারণ কেন্দ্রে পুলিশ, অঙ্গীভূত আনসার ও চৌকিদার-দফাদারসহ ২৫ জন ফোর্স দায়িত্ব পালন করবে। এ ছাড়া সীমান্তবর্তী উপজেলায় বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) মোতায়েন থাকবে। নির্বাচনে বিজিবি ও কোস্টগার্ড সদস্যরা ৫ দিন, র‌্যাব ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান সদস্যরা ৭ দিন মাঠে থাকবে।

১১৭টি উপজেলা পরিষদ হচ্ছেঃ পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া, বগুড়ার আদমদীঘি, চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর, নাটোর সদর উপজেলা, সিরাজগঞ্জের তাড়াশ, মেহেরপুরের মুজিবনগর, নেত্রকোনার বারহাট্টা, মানিকগঞ্জের হরিরামপুর, ফরিদপুরের বোয়ালমারী, গোপালগঞ্জ সদর, বান্দরবানের রুমা, টাঙ্গাইলের সখিপুর, জামালপুরের ইসলামপুর, ঢাকার সাভার, ফেনীর পরশুরাম, নোয়াখালীর চাটখিল, কক্সবাজারের মহেশখালী, নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ, লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা, গাইবান্ধার পলাশবাড়ী, জয়পুরহাটের কালাই, বগুড়ার কাহালু, কুষ্টিয়ার খোকসা ও মিরপুর, মাগুরার শালিখা, নেত্রকোনার খালিয়াজুড়ী, ঢাকার কেরানীগঞ্জ, গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া, চাঁদপুরের সদর ও ফরিদগঞ্জ, কক্সবাজারের চকরিয়া ও পেকুয়া, বান্দরবানের রোয়াংছড়ি, দিনাজপুরের চিরিরবন্দর ও ঘোড়াঘাট, নওগাঁর পত্মীতলা ও লালপুর, নাটোরের লালপুর, পাবনার চাটমোহর, খুলনার ডুমুরিয়া, ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ, নরসিংদীর শিবপুর, চাঁদপুরের মতলব (দক্ষিণ), চট্টগ্রামের পটিয়া, খাগড়াছড়ির লক্ষ্মীছড়ি, রাঙ্গামাটির নানিয়ারচর, ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল, দিনাজপুরের বীরগঞ্জ, লালমনিরহাটের পাটগ্রাম, কুড়িগ্রামের রাজারহাট, নওগাঁ সদর, রাজশাহীর বাঘা, পাবনার ভাঙ্গুড়া, সাতক্ষীরার শ্যামনগর, পিরোজপুরের কাউখালী, নেত্রকোনার পূর্বধলা, মানিকগঞ্জ সদর, মুন্সীগঞ্জ সদর, হবিগঞ্জের চুনারুঘাট, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল, নোয়াখালী সদর ও কবিরহাট, জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল, মেহেরপুরের গাংনী, যশোরের বাঘারপাড়া, বরিশাল সদর, জামালপুরের বকশীগঞ্জ, ফরিদপুরের সালথা, সিলেটের বালাগঞ্জ, কুমিল্লার দেবীদ্বার, চাঁদপুরের হাইমচর, চট্টগ্রামের লোহাগাড়া, যশোরের শার্শা, ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গা, রংপুরের বদরগঞ্জ, নাটোরের গুরুদাসপুর, কুষ্টিয়ার কুমারখালী, মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর, রাঙ্গামাটির কাপ্তাই, দিনাজপুরের বিরামপুর, কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী, যশোরের ঝিকরগাছা, ভোলার বোরহানউদ্দিন, জামালপুরের মেলান্দহ, শেরপুরের ঝিনাইগাতি, ময়মনসিংহের ভালুকা, মাদারীপুরের শিবচর, কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ ও লাকসাম, চাঁদপুরের মতলব (উত্তর), নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ, বান্দরবানের লামা, লালমনিরহাট সদর, কুড়িগ্রামের রাজীবপুর, নওগাঁর বদলগাছি, নাটোরের বাগাতিপাড়া, যশোরের চৌগাছা, বাগেরহাটের ফকিরহাট, ভোলার চরফ্যাশন, পিরোজপুরের নাজিরপুর, নেত্রকোনার কলমাকান্দা, ফরিদপুরের নগরকান্দা, সুনামগঞ্জ সদর, ফেনী সদর, জয়পুরহাট সদর, বগুড়ার শাজাহানপুর, শিবগঞ্জ, নওগাঁর আত্রাই, সাপাহার, ঝিনাইদহের মহেশপুর, মাগুরার মোহাম্মদপুর, মাদারীপুরের রাজৈর, বান্দরবানের থানচি, বাগেরহাটের কচুয়া, ময়মনসিংহ সদর, সুনামগঞ্জের দিরাই, নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ