বাংলাদেশের নির্বাচনে গণতন্ত্র ইতিহাসের কয়েদি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ বাংলাদেশের ৫ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচন ছিল ‘ইলেকশন অব দ্যা রুলিং পার্টি, বাই দ্যা রুলিং পার্টি ও ফর দ্যা রুলিং পার্টি’।
সাম্প্রতিক বাংলাদেশের নির্বাচনকে কেবল এভাবেই বর্ণনা করা যায়।
দ্যা এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের ব্লগে প্রকাশিত এক মন্তব্য প্রতিবেদনে এমনটি বলা হয়ছে।
‘বাংলাদেশ ইলেকশন্স ২০১৪ : হয়ার ডেমোক্রেসি ইজ অ্যা প্রিজনার অব হিস্টোরি’ শীর্ষক প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে ৩০০ আসনের ১৫৩টিতেই বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন প্রার্থীরা। বাকি যে কয়টি আসন ছিল সেগুলোতেও হয়েছে বন্ধুত্বপূর্ণ কয়েকটি দলের টোকেন লড়াই। ফলে শাসকদল পেয়েছে এক তৃতীয়াংশ আসন। সবেচেয়ে বড় বিরোধীদল বিএনপি রয়ে গেছে সংসদে প্রতিনিধিত্বহীন।
এতে বলা হয়, এ নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে রাজনৈতিক এক কেন্দ্রিকতা গেড়ে বসেছে। প্রধান বিরোধী দলের নির্বাচন বর্জন ও নামসর্বস্ব বিরোধী দলটিরও সরকারে যোগদান করার মধ্য দিয়ে মূলত একদলীয় পার্লামেন্টই পেয়েছে বাংলাদেশ। এতে করে নির্বাচন নিয়ে দেশে-বিদেশে প্রশ্ন উঠেছে। ফলে দক্ষিণ এশিয়ার সর্বকনিষ্ঠ দেশটির গণতন্ত্রের ভবিষ্যত নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, এটাই বাংলাদেশের প্রথম একদলীয় নির্বাচন নয়। এর আগেও একাধিকবার দেশটিতে একদলীয় নির্বাচনের আয়োজন করা হয়েছে। প্রায় সময়ই শাসকদলগুলো ক্ষমতায় থেকে যাওয়ার জন্য এমনটি করে আসছে। এতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধসহ বিভিন্ন সময়ের ইতিহাস তুলে ধরা হয়।
সাংবাদিক সঞ্জয় কুমারের লেখা প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, এতে সন্দেহের অবকাশ নেই যে, বাংলাদেশের আধুনিক গণতন্ত্র ইতিহাসের এক কয়েদি। তবে বাংলাদেশের অচলাবস্থার ভবিষ্যত কী? এমন প্রশ্ন অন্য কাউকে করার প্রয়োজন নেই। কারণ সঞ্জয় নিজেই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নির্বাচনের পরদিন সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে কয়েকটি প্রশ্ন করেন। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন সবকিছুই নির্ভর করছে বিরোধীদের ওপর। যদি তারা আলোচনা চায়, তবে কোনো একটি পথ বেরিয়ে আসতেও পারে।