৩ সরকার চালাচ্ছে বাংলাদেশ
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ ইমরান সরকার, হাসিনা সরকার আর প্রতিবেশী সরকার এ তিন সরকার মিলে দেশ চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
তিনি বলেন, ‘ইমরান সরকারের আদেশে আদালত রায় দেন। হাসিনা সরকার দেশের ক্ষমতায় আর প্রতিবেশী সরকারের আদেশ পালন করে হাসিনা সরকার।’
জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে শনিবার দুপুরে ‘বাকশাল, গণতন্ত্র এবং বর্তমান প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক এক আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট এই আলোচনার আয়োজন করে।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘কেউ কেউ বলছেন দেশ বাকশালী কায়দায় চলছে। কিন্তু সেদিনের বাকশাল আর আজকের বাকশালের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। সেদিনকার বাকশাল একদলীয় ছিল আর আজকের বাকশালও একদলীয়। কেননা জাপা-আওয়ামী লীগ আলাদা দল এখন আর নেই। তারা মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। তারা দুই মিলেই সরকার আবার বিরোধীদল।’
আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমাদের আন্দোলন ব্যার্থ হয়নি। তবে আমরা নির্বাচনে না গিয়ে ক্ষমতায় যেতে পারিনি-কর্মীদের এমন অভিযোগের সঙ্গে একমত। কিন্তু আমাদের আন্দোলনের ফলেই জনগণ ভোট কেন্দ্রে যায়নি। হাসিনা সরকার জোর করে ক্ষমতায় এসেছে এটা প্রমাণিত। আমাদের আন্দোলনের ফলে একাত্তরের মতো আওয়ামী সমর্থকরা রাজধানীতে এসে হাজির হয়। আর রাজধানীতে এসে তারা সশস্ত্র হয়ে যায়। আমাদের নিরস্ত্র কর্মীরা তাই রাজধানী থেকেও তাদের উচ্ছেদ করতে পারেনি। আমরা যদি সেদিন ৫০০ রাইফেল নিয়ে নামতাম তাহলে তারা আমাদের কাছেও আসতে পারত না।’
তিনি আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনাকে কোনো আইনের কথা বলে লাভ নেই। কারণ তিনি আইন মানেন না। ২৪ জানুয়ারি পর্য্ন্ত নবম সংসদের মেয়াদ থাকলেও তিনি এর আগেই শপথ নিয়েছে। তবে আমাদের আগামী কর্মসূচি অনতিবিলম্বে আসবে এবং সরকার পতনের আন্দোলন আরও জোরদার হবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আন্দোলনে কাউকে না কাউকে তো ত্যাগ করতেই হবে। কিন্তু সেই ত্যাগের ভয়ে আন্দোলনে না গিয়ে ১৮দলের আন্দোলনকে ব্যর্থ করা হয়েছে। এখন সময় এসেছে আবারও প্রস্তুতি নিয়ে আন্দোলনে ঝাপিয়ে পরা। শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’
সংগঠনের উপদেষ্টা শাহাদাত হোসেন সেলিমের সভাপতিত্বে আলোচনায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি’র গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া, অ্যাড. মিয়া খোরশেদ আলম, স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মো. রহমতুল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন প্রমুখ।