বিপ্লবের মাধ্যমে সমাজ পরিবর্তন দরকার : মতিন
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি ঢাকা: দেশে এখন বিপ্লবের মাধ্যমে সমাজ পরিবর্তন দরকার বলে মন্তব্য করেছেন ভাষা সৈনিক আবদুল মতিন। তিনি বলেছেন, ‘এ জন্য আমাদের সংগঠিত হতে হবে।’
জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে শনিবার দুপুরে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। ভাসানী অনুসারী পরিষদ এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
দেশের মানুষ শান্তিতে নেই বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘দেশে শান্তি নেই, কী আশ্চর্য ব্যাপার! দেশের অবস্থা কি? মানুষ কী শান্তিতে ঘুমাতে পারেন?
আবদুল মতিন বলেন, ‘মওলানা ভাসানীর স্মৃতির সবকিছু ষড়যন্ত্রমূলকভাবে বিলীন করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কেন সেটা করা হয়েছে আমার বোধগম্য নয়।’ তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা মওলানা ভাসানীকে স্বাধীনতাত্তোর কোন সরকারই যথাযথ মূল্যায়ন করেনি।’
সংগঠনের প্রেসিডিয়াম সদস্য ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘মওলানা ভাসানীকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার চক্রান্তে ৫ম, ও ৮ম শ্রেণী পাঠ্য পুস্তক থেকে মজলুম নেতার জীবনী প্রত্যাহার করা হয়েছে।’
অবিলম্বে পাঠ্য পুস্তকে মওলানা ভাসানীর জীবনী অন্তর্ভুক্ত করার দাবী জানিযে তিনি বলেন, ‘মওলানা ভাসানীর জীবনী কোমলমতি ছাত্র/ছাত্রীদের চরিত্র গঠনে সহায়ক হবে।’
সভাপতির বক্তব্যে ড. জসীম আহমদ বলেন, ‘পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পরেই মওলানা ভাসানী বুঝতে পেরেছিলেন পশ্চিম পাকিস্তানীর সঙ্গে থাকা সম্ভব নয়। তাই ১৯৫৭ সালে কাগমারী সম্মেলনে তিনিই প্রথম স্বাধীনতার কথা উচ্চারণ করেছেন।’
ভাসানী অনুসারী পরিষদের নির্বাহী চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ড. জসীম উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মোস্তফা জামাল হায়দার, অধ্যাপক ড. সৈয়দ সফিউল্লাহ, কলামিস্ট কাজী সিরাজ, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. পিয়াস করিম, সংগঠনের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, সদস্য ইকবাল হোসেন ফোরকান, অ্যাডভোকেট সুলতান আলম মল্লিক, শহীদ আসাদ পরিষদের সভাপতি সামসুজ্জামান মিলন প্রমুখ।