পাকিস্তানি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবে কিনা শিমলা চুক্তির উপর নির্ভর করবে

law minister anisul haque আইনমন্ত্রী আনিসুল হকসিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ শিমলা চুক্তির ব্যাঘাত না ঘটলে একাত্তর সালের অপরাধের জন্য পাকিস্তানের চিহ্নিত সেনা কর্মকর্তাদের বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করা সম্ভব কিনা বলা যাবে বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।

রোববার বিচার প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে  অতিরিক্ত জেলা জজ ও সেশন জজদের জন্য এক প্রশিক্ষণ কর্মশালা উদ্বোধন শেষে এ মন্তব্য করেন তিনি।

১৯৭১ সালে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধ, গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য পাকিস্তানের চিহ্নিত সেনা কর্মকর্তাদের বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। তার জন্য তদন্ত শুরু করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। ১৯৭৪ সালে ত্রিপক্ষীয় চুক্তির আওতায় যে ১৯৫ জন তালিকাভুক্ত যুদ্ধবন্দী পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তাকে ফেরৎ পাঠানো হয়েছিল; তাদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন তিনি।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে আইনমন্ত্রী বলেন, প্রথম কথা হচ্ছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল একদম স্বাধীন। তারা এ পদক্ষেপ নিয়েছেন, আমি গতকালকে জানতে পেরেছি। ১৯৫ জন যাদের ১৯৭৩ সালে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের বিচারের একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, আমার যেটা কর্তব্য বলে আমি মনে করি,  শিমলা চুক্তির মাধ্যমে যে ১৯৫ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। তাদের বিচারে সে চুক্তির কোনো ব্যাঘাত ঘটবে কি-না। আনটিল এন্ড আনলেস আই গেট দিস ক্লারিফিকেশন, আমি এটার ওপর আর কিছু বলতে চাই না।

তিনি বলেন, এ চুক্তি সংসদে পাস আর না পাসের কিছু নেই। এ চুক্তি কিন্তু কার্যকরী হয়ে গেছে। কারণ এ চুক্তির আওতায় যাদের ছাড়ার, তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।  এখন আমাকে যেটা দেখতে হবে, সেটা হলো এ চুক্তি কার্যকরের পরও

আমরা এটা করতে পারি কি-না।

মন্ত্রী বলেন, ইন অ্যাবসেন্সে (অনুপস্থিতিতে) বিচার করারতো একটা পদ্ধতি আছেই।  আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত আইন-১৯৭৩ এবং তার সব সংশোধনীতে তারা এ বিচার করতে পারেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

অন্যদিকে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলাকারীদের বিচারের বিষয়ে আনিসুল হক বলেন, আমরা এটা নিয়ে আলাপ আলোচনা করছি। আমার মনে হয়, যেই অপরাধগুলো সংগঠিত হয়েছে, সেই অপরাধ কিন্তু স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্টের যে ধারাগুলো আছে, তার মধ্যে পড়ে।

এক্ষেত্রে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচার করা সম্ভব হবে।

বিচার প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি মুসা খালেদের সভাপতিত্বে কর্মশালা শুরু হয়।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ