মানবিক সংকটে টর্নেডো আক্রান্তরা
শুক্রবারের টর্নেডোতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর, আখাউড়া ও বিজয়নগর উপজেলায় ১৫টি গ্রামে একজন কারারক্ষীসহ অন্ততপক্ষে ২৬ জন নিহত হয়েছেন, আহত অন্ততপক্ষে ৪০০ জন। টর্নেডোর আঘাতে বৈদ্যুতিক লাইন ও খুটি, জেলখানার দেয়াল ধ্বসে পড়ে এবং কমপক্ষে ১০০০ ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অসংখ্য গাছপালা ভেঙে যোগাযোগ ব্যবস্থা অচল হয়ে যায়।
এত ব্যাপক মাত্রার ধ্বংসযজ্ঞের পর সরকারি উদ্যোগে উদ্ধার তৎপরতা বলতে কিছুই দেখা যায়নি এলাকাটিতে। পুরোপুরি ব্যক্তিগত ও সামাজিক উদ্যোগে নিহত ও আহতদের উদ্ধার ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। এর দুদিন পর সরকারি উদ্যোগে ত্রাণ তৎপরতা শুরু হলেও রয়েছে নামমাত্র পর্যায়ে। এখনো ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণই স্থির করতে পারেনি স্থানীয় প্রশাসন।
কমপক্ষে এক হাজারের বেশি পরিবার ঘর বাড়ি হারিয়ে পথে বসলেও রবিবার রাতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে দুর্গতদের জন্য ১০০টি তাবু স্থাপনের কাজ ‘চলছে’। ক্ষতিগ্রস্ত ৪০০ পরিবারে মাঝে এছাড়া টর্নেডোতে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ৯ লাখ টাকা ১২ টন চাল ও সামান্য কিছু ঢেউটিন বিতরণ করেছে সরকার।
এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত ৪০০ পরিবারের মধ্যে ৩০ কেজি হারে মোট ১২ মেট্রিক টন চাল এবং ঘরবাড়ি নির্মাণের জন্য ২৫ বান্ডিল ঢেউটিন এবং ৭৫ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। দুর্গতদের জন্য ১০০টি তাবু স্থাপনের কাজ চলছে, আরও ২০০ পিস তাঁবু সরবরাহের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। টর্নেডো ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় রান্না করা খাবার দুর্গত জনগণের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও অধিদফতর থেকে অতিরিক্ত ৫ জন কর্মকর্তাকে ত্রাণসামগ্রী বিতরণে সহায়তা করার জন্য ন্যস্ত করা হয়েছে। এছাড়া সার্বিক ত্রাণকাজের সুবিধার্থে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও জনবলসহ ২টি পিকআপ ভ্যান দুর্গত এলাকায় প্রেরণ করা হয়েছে।