বিগ থ্রির বিপক্ষে বাংলাদেশ
স্পোর্টস ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডের বহুল আলোচিত ‘পজিশন পেপার’ নিয়ে আইসিসির সভায় আলোচনা হবে আগামীকাল(মঙ্গলবার)।
প্রস্তাব পাস হলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চলমান সিরিজের পর টেস্ট ক্রিকেট খেলতে বাংলাদেশকে বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হবে।
তাই এই প্রস্তাবের বিপক্ষে রাস্তায় নেমে এসেছিল ক্রিকেটপ্রেমীরা। বিসিবির বৃহস্পতিবারের সভায় পজিশন পেপার ইস্যুতে ২০-৩ ভোটের বিষয়টি সরকারও ভালোভাবে নেয়নি বলে জানা গেছে। দেশের ক্রিকেটের এ ক্রান্তিলগ্নে সরকারের অবস্থান জনমতের পক্ষেই বলে জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার। দেশের মানুষের আবেগ আমলে নিয়ে বীরেন শিকদার বলেন, প্রতিদিনই পত্র-পত্রিকায় এ খবর বেরুচ্ছে। তাতে এ বিষয়টির গুরুত্ব আমরা সবাই বুঝতে পারছি। ক্রিকেটের জন্য যেটা ভালো হয় আমরা তাই করব।
ক্রিকেট বিশ্বের ক্ষমতা নিজেদের মধ্যে ভাগবাটোয়ারা করার যে ফন্দি আটছে ভারত, ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া।সাবেক প্রশাসকদের মধ্যে তার বিরোধিতার শুরুটি করেছেন এহসান মানি। ‘বিগ থ্রি’র প্রস্তাব দ্রুত প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়ে সাবেক আইসিসি প্রেসিডেন্ট যে চিঠি পাঠিয়েছেন, তাতে সমর্থন পেয়েছেন একসময় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া ও আইসিসির উঁচু পদে কাজ করা ম্যালকম স্পিড ও ম্যালকম গ্রের। তাদের অবস্থান আরও শক্তিশালী করেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ কিংবদন্তি স্যার ক্লাইভ লয়েড এবং সাবেক দুই পিসিবি প্রেসিডেন্ট শাহরিয়ার খান ও তৌকির জিয়া । তারা চিঠিতে নিজেদের সমর্থন জানিয়ে স্বাক্ষর করেন। আইসিসির কাছে পাঠানো এ চিঠিতে সমর্থন করেছেন বিসিবির সাবেক সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরীও।
আইসিসিকে বেশি আয়ের পথও তারা দেখিয়ে দিয়েছেন চিঠির একটি অংশে। চিঠিতে তারা বলেছেন, ক্রিকেট বিশ্বব্যাপী ছড়ানো ও উন্নতির জন্য দরকার আরও বেশি অর্থের। সে জন্য সহযোগী দেশগুলোর অংশগ্রহণ আরও বাড়াতে হবে। সহযোগী দেশগুলোর কেউ কেউ বিশ্ব অর্থনীতির অন্যতম প্রধান শক্তি। যদি ক্রিকেটকে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনে ভালোভাবে প্রতিষ্ঠিত করা যায় এবং অলিম্পিকের অংশ করা যায়, তাহলে আগামী ১০-১৫ বছরে আইসিসির আয় আরও বাড়বে। এ জন্য অবশ্য দরকার সঠিক রূপরেখা।