ইনিংস পরাজয় ও ২৪৮ রানে হারের লজ্জা বাংলাদেশের
স্পোর্টস ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ শ্রীলঙ্কাকে আরেকবার ব্যাটিংয়ে নামাতে হলেও করতে হতো ৪৯৯ রান। যা পাদদেশে দাঁড়িয়ে পাহাড়ের চূড়া দেখে হকচকিয়ে যাওয়ার মতো ব্যাপার। তবে দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ম্যাচটা ড্র না হোক অন্তত সম্মানজনক পরাজয়ের লক্ষ্যই হওয়া উচিত ছিল বাংলাদেশের। হলো না সেটাও। অমনোযোগী ছাত্রের মত ব্যাটিংয়ে চার দিনেই মিরপুর টেস্টটা শ্রীলঙ্কার কাছে হারল মুশফিকুর রহিমের দল। তাও ইনিংস ও ২৪৮ রানের ব্যবধানে। নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে এটা শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সর্বোচ্চ আর সব মিলিয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানে হারের রেকর্ড বাংলাদেশের ।
শ্রীলঙ্কার ৭৩০ রানের জবাবে প্রথম ইনিংসে ২৩২ করা বাংলাদেশ বৃহস্পতিবার চা বিরতির আগেই গুটিয়ে গেছে ২৫০ রানে। ১৫ টেস্টে এটা শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৪তম হার বাংলাদেশের। এর ৮টিই আবার ইনিংস ব্যবধানে। তাদের বিপক্ষে এতদিন সর্বোচ্চ হারের রেকর্ডটা ছিল ২০০৭ সালের কলম্বো টেস্টে ইনিংস ও ২৩৪ রানে। সেটা পেছনে ফেলে মিরপুরে পরাজয়ের ব্যবধানটা দাড়াল ইনিংস ও ২৪৮ রানের। ব্যবধানটা আর বাড়ত যদি না শেষ দুই ব্যাটসম্যান রুবেল ১৭ ও আল আমিন করতেন ৩২ রান। স্টেডিয়ামে আশা দর্শকদের প্রাপ্তি বলতে ১৮ বলে ১ বাউন্ডারি ও ৪ ছক্কায় আল আমিনের ৩২ রানের ইনিংসটি।
গত দেড় বছর দূর্দান্ত ক্রিকেটই খেলছিল বাংলাদেশ। গল টেস্টে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ড্র করার পাশাপাশি দেশের মাটিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুটি টেস্টই অসাধারণ খেলেছিল তারা। তবে মিরপুরে দেখা মিলল সেই পুরনো বাংলাদেশের। যারা টেস্ট খেলে অমনোযোগী ছাত্রের মত। নাহলে তামিম কেন ইনিংসের চতুর্থ ওভারেই ডাউন দ্য ট্র্যাকে এসে ক্যাচ তুলবেন আকাশে? আজ চতুর্থ দিনের দ্বিতীয় বলেই বা কেন উইকেটের পেছনে ক্যাচ তুলে দিবেন শামসুর?
এই ব্যর্থতাই জুড়ে ছিল পুরো ইনিংস জুড়ে। একমাত্র ফিফটিটি করেছিলেন মমিনুল হক,সেটাও ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাট চালিয়ে। ৫৭ বলে ৮ বাউন্ডারিতে ৫০ করে পেরের বলে এলবিডাব্লিউ হন তিনি। এছাড়া নাসির ২৯,সাকিব ২৫,সোহাগ ২৩ ও মুশফিক করেন ১৪ রান। দিলরুয়ান পেরেরা ৫ ও লাকমল নিয়েছেন ৪ উইকেট।
জয়াবর্ধনের ২০৩ রানই আসলে বড় জয়ের ভিতটা গড়ে দিয়েছিল লঙ্কানদের। এই ইনিংসে তিনিই এখন আবার টেস্টের ষষ্ঠ সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী। ২০৩ রানের ইনিংসের পথে ১৪০ রানে থাকার সময় পেরিয়ে যান অ্যালান বোর্ডারের ১১,১৭৪ রান। একটু পরে টপকে যান শিবনারায়ণ চন্দরপলকেও (১১,২১৯) ।