পাবনা-১ আসনে পুনঃনির্বাচন কেন হবেনা জানতে চেয়ে রুল

সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন পাবনা-১ আসনের (সাঁথিয়া-বেড়া) নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে  পুনঃনির্বাচন কেন দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

ওই আসনে আওয়ামী লীগের বিজয়ী প্রাথী সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকুসহ  সংশ্লিষ্টদের আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

সোমবার এক রিট আবদনের শুনানি শেষে হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমেন্দ্র সরকারের একক বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।

হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট এই বেঞ্চটি গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ অনুযায়ী ‘নির্বাচনী আবেদন’ শুনানির জন্য নির্ধারিত।

এরআগে গত ২৯ জানুয়ারি ওই আসনের  স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ একটি রিট করেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইদ্রিসুর রহমান।

অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ বলেন, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং নির্বাচন কমিশনের আশ্বাসে প্রার্থী হই; কিন্তু বাস্তবে একের পর এক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে নির্বাচনের পরিবেশকে নষ্ট করেন।

তিনি বলেন, মনোনয়নপত্র দাখিল করার পর থেকে নির্বাচনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আমার সমর্থক নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়। এ বিষয়ে বিভিন্ন অনিয়ম সম্পর্কে যথাযথ কর্তৃপক্ষের  নিকট জানানোর সত্ত্বেও কোনো আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। বরং ভোটের আগের রাতে এবং ভোটের দিন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর এপিএস আনিসুজ্জামান দোলন, তার ছেলে রঞ্জন, ফারুক চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে বহিরাগত প্রায় দুইশ’ সশস্ত্র সন্ত্রাসী ৬১টি কেন্দ্রে ভোট ডাকাতি করে।

আবু সাইয়িদ বলেন, আমার এজেন্টদের বের করে ভোট ডাকাতি এবং ব্যাপক জাল ভোট দেয়া হয়।

তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী টুকু তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে ৩২টি কেন্দ্রে গিয়ে ব্যালট পেপারে সিল মেরে ২৯ হাজার ৪৫৬ ভোট ডাকাতি করে তার নিশ্চিত বিজয় ছিনিয়ে নিয়েছে।