এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষা শুরু

সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ  ২০১৪ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছে। রোববার সকাল ১০টায় এ পরীক্ষা শুরু হয়। দেশের আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড এবং মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে একযোগে এ পরীক্ষা চলছে।

প্রথম দিনে রোববার বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে এবং সব বোর্ডের তত্ত্বীয় পরীক্ষা আগামী ২০ মার্চ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। এসব তথ্য জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

এদিকে উপজেলা নির্বাচনের কারণে ১৮ ও ২০ ফেব্রুয়ারির এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা ১৯ ও ২০ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে।

সচিবালয়ে শনিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী আরো জানান, এ বছর সাধারণ শিক্ষা বোর্ডসহ ১০টি বোর্ডের অধীনে মোট ১৪ লাখ ৩২ হাজার ৭২৭ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে, যা ২০১৩ সালের তুলনায় এক লাখ ২৯ হাজার ৫২৪ জন বেশি। এসব পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্রের সংখ্যা সাত লাখ ৩৩ হাজার ২০২ জন এবং ছাত্রী ছয় লাখ ৯৯ হাজার ৫২৫ জন।

মন্ত্রী জানান, এবার দেশের আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি পরীক্ষায় মোট ১০ লাখ ৯০ হাজার ৫৫৫ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিতে যাচ্ছে। যাদের মধ্যে ছাত্রের সংখ্যা পাঁচ লাখ ৩৬ হাজার ২১৭ জন এবং ছাত্রীর সংখ্যা পাঁচ লাখ ৫৪ হাজার ৩৩৮ জন।

এ ছাড়া মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দাখিল পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা দুই লাখ ৩৯ হাজার ৭৪৯ জন। যাদের মধ্যে ছাত্রের সংখ্যা এক লাখ ২১ হাজার ৬০১ জন এবং ছাত্রীর সংখ্যা এক লাখ ১৮ হাজার ১৪৮ জন। এদিকে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষায়ও এক লাখ দুই হাজার ৪২৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিতে যাচ্ছে। যাদের মধ্যে ছাত্রের সংখ্যা ৭৫ হাজার ৩৮৪ জন এবং ছাত্রীর সংখ্যা ২৭ হাজার ৩৯ জন।

এ বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কেন্দ্র বাড়ারও তথ্য দিয়েছেন মন্ত্রী। তিনি জানান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বেড়েছে ৪১৬টি এবং কেন্দ্র বেড়েছে ১৮৪টি। এতে মোট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজার ৪৮৯টিতে এবং মোট কেন্দ্রের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৯৪২টিতে। এবারো বিদেশের সাতটি কেন্দ্র জেদ্দা, রিয়াদ, ত্রিপলী, দোহা, আবুধাবী, দুবাই ও বাহরাইন থেকে মোট ২৯৬ জন পরীক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে।

এবারো বাংলা দ্বিতীয় পত্র, ইংরেজি প্রথম পত্র, দ্বিতীয় পত্র এবং গণিত ছাড়া বাকি সব বিষয়ে সৃজনশীল পদ্ধতিতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আর দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পালসিজনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা বরাবরের মতোই শ্রুতিলিখন পদ্ধতিতে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারছে। এ ধরনের প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার নির্ধারিত সময়ের চেয়ে ২০ মিনিট বেশি সময় পাবে বলেও উল্লেখ করেন শিক্ষামন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘শিক্ষা বোর্ডগুলোরর পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোর তথ্য আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে অনলাইন ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। ফলে কেন্দ্রগুলোর সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে। আমরা আশা করছি এসএসসি, দাখিল ও এসএসসি (ভোকেশনাল) পরীক্ষা ছাত্র, শিক্ষক ও অভিভাবকসহ সবার কাছে আনন্দদায়ক ও উৎসবমুখর হবে।’

সম্পূর্ণ নকলমুক্ত ও সুশৃঙ্খল পরিবেশে সবার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে এসএসসি, দাখিল ও এসএসসি (ভোকেশনাল) পরীক্ষা সফলভাবে অনুষ্ঠানে সবার সহযোগিতাও কামনা করেন মন্ত্রী।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের কারণে ১৮ ফেব্রুয়ারি তারিখের নির্ধারিত এসএসসির ইসলাম শিক্ষা, হিন্দুধর্ম শিক্ষা, বৌদ্ধধর্ম শিক্ষা, খ্রিস্টধর্ম শিক্ষা এবং দাখিলের আরবি দ্বিতীয়পত্র পরীক্ষা আগামী ১৮ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া ২০ ফেব্রুয়ারি তারিখের এসএসসির হিসাববিজ্ঞান, দাখিলের বাংলা এবং এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিলের (ভোকেশনাল) আত্মকর্মসংস্থান ও ব্যবসায় উদ্যোগ পরীক্ষাটি আগামী ২০ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব কামাল আবদুল নাসের, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন, ১০ শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ