গরমে চিকিৎসা
আমরা জানি যে শীত ঋতুতে বাতের ব্যথা বেড়ে যায়। কথাটা খুবই সুস্পষ্ট। মিষ্টি খেলে ডায়াবেটিস্ হয়না, ডায়াবেটিস হলে মিষ্টি খাওয়া নিষেধ। তদ্রুপ শীত ঋতু আসলে বাত রোগ হয় না, বাত রোগ বা হাড় জোড়ার রোগীর ব্যথা শীতে বেড়ে যায়। কোন এলাকায় আগুন লাগলে খেয়াল করবেন যদি ঐ এলাকায় তেলের গুদাম থাকে তাহলে আগুনের লেলিহান শীখা কিভাবে দাউ দাউ করে জলে উঠে। তাই হাড়জোড়া ও বাত ব্যথার রোগীদের শীত বা ঠান্ডা লাগলে ব্যথা তীব্র থেকে তীব্রতর হয়, তখন ডাক্তারের পরার্মশে বা রোগী নিজেই ব্যাথায় গরম সেক দেন এবং কুসুম গরম পানিতে গোসল করেন, এতে রোগী অনেকটা আরাম বোধ করেন। এটা যে সকল রোগী বাত ব্যথায় আক্রান্ত তারা অবশ্যই উপলব্ধি করেছেন। এখানে শীত ডাক্তারী ভাষায় প্রিডিসপোজিং ফেক্টর হিসেবে কাজ করে। আমাদের দেশে শীত কমে গিয়েছে, গরম পরতে শুরু করেছে। এতে বাতের ব্যথার তীব্রতা কিছুটা কমতে পারে। কিন্তু যেহেতু বাত ব্যথা কোন রোগ নয় এটা বিভিন্ন রোগের উপসর্গ মাত্র। সেহেতু ব্যথায় আক্রান্ত রোগীরা দীর্ঘদিন রোগে না ভুগে দ্রুত চিকিৎসকের শরনাপন্ন হয়ে রোগ নির্নয় করে সঠিক ও আধুনীক ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা নিলে আস্তে আস্তে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠবেন।