৪৩ বছরেও নির্মাণ হয়নি ব্রিজটি

রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঠাকুরগাঁওঃ  ৪৩ বছরেও নির্মাণ হয়নি ঠাকুরগাঁওয়ের শ্রী কৃষ্টপুর শূক নদীর ব্রিজটি। ঠাকুরগাঁও রোড এলাকা দিয়ে বয়ে যাওয়া এই নদীটি মোহাম্মদপুর ইউনিয়নকে শহরের সাথে আলাদা করে দিয়েছে। ফলে আশপাশের ১০ গ্রামের মানুষ দীর্ঘ দিন ধরে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।

সদর উপজেলার কহড়পাড়া, শ্রীকৃষ্টপুর, নারগুন, নিশ্চিন্তপুর, মোহাম্মদপুর, ফেসরাডাঙ্গী, মাতৃগাও, গিলাবাড়ি, রামপুর, হরিনারায়ণপুর এই ১০ গ্রামের সাথে শহর এবং পীরগঞ্জ ও রাণীশংকৈল উপজেলার আঞ্চলিক সড়কের যোগাযোগ উন্নয়নের জন্য ১৯৭০ সালে শুক নদীর উপর ব্রিজ নির্মাণ শুরু করে এলজিইডি।

নদীর দু’তীরের কংক্রিট গার্ডার নির্মাণ করা হলেও অজ্ঞাত কারনে নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এর পাশে স্থানীয়ভাবে একটি বাঁশের সাঁকো তৈরি করে বিকল্প যাতায়াতের ব্যবস্থা করেছে।

তাও আবার টাকার বিনিময়ে পারাপার হতে হয়। আর বর্ষায় সেই বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার হওয়া যায়না। তখন চলাচল করে নৌকা। এতে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে কৃষক ও স্কুলগামী শিশুরা।কৃষকরা ওই এলাকা থেকে তাদের উৎপাদিত পন্য সহজেই ঠাকুরগাঁও আড়তে আনতে পারেননা। তাদের প্রায় ১৫ কিলোমিটার ঘুরে কৃষিপণ্য ঠাকুরগাঁও  আনতে হয়। আর শিশুরা পারাপার হয় ঝুঁকি নিয়ে।

গিলাবাড়ি গ্রামের কৃষক আব্দুর রহমান, মিনারুল হক ও আব্দুস সোবাহান বলেন, শাক সবজিসহ অন্যান্য কৃষিপণ্য ঠাকুরগাঁও আড়তে নিতে অনেক পথ ঘুরতে হয়। এতে অনেক সময় পরিবহন খরচও বেড়ে যায়।

হরিনারায়ণপুর গ্রামের বাসিন্দা দিদারুল ইসলাম বলেন, শিশুরা স্কুলে যাতায়াত করে ঝুঁকি নিয়ে। ফলে অভিভাকরা থাকেন আতঙ্কে।

ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান-ই-হাবীব ব্রিজটির গুরুত্ব তুলে দরে বলেন, ব্রিজটি নির্মাণ হলে এই এলাকার মানুষের হাজারো কষ্ট লাঘব হবে এবং দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ হবে।

এলজিইডি বিভাগের উপজেলা প্রকৌশলী নুরুজ্জামান সরদার ব্রীজটির গুরুত্বের কথা স্বীকার করে বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। অনুমোদন সাপেক্ষে পুন:নির্মাণ কাজ শুরু হবে।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ১০ গ্রামের হাজারো মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ৪৩ বছর আগের শুরু করা এ সেতুটির নির্মাণ কাজ দ্রুত  শেষ করে এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে এগিয়ে আসবে এমনটাই প্রত্যাশা এলাকাবাসীর।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ