ডিএসই’র সার্ভিল্যান্স সফটওয়্যার উদ্বোধন
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ পুঁজিবাজারে তদারকি বাড়াতে অত্যাধুনিক সার্ভিল্যান্স সফটওয়্যার সংযোজন করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। মঙ্গলবার দুপুর পৌণে দুইটায় ডিএসই কার্যালয়ে সফটওয়্যারটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেণ পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি’র চেয়ারম্যান এম খায়রুল হোসেন।
এ সময় বিএসইসি’র চার কমিশনার, ডিএসই’র সভাপতি আহসানুল ইসলাম টিটুসহ ডিএসই’র পরিচালনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দ এবং ডিএসই’র সাবেক প্রেসিডেন্ট রকিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধন পরবর্তী সাংবাদিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএসইসি’র চেয়ারম্যান এম খায়রুল হোসেন বলেন, ‘পুঁজিবাজারকে শক্ত ভিত্তিতে দাঁড় করানোর ক্ষেত্রে এটি একটি মাইলফলক। স্টক এক্সচেঞ্জের সক্ষমতা বাড়াতেই এই সংযোজন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা দেখেছি কিভাবে কারিসাজ হচ্ছে। এর মধ্যে ভুল ধারণা দেখেছি। ইন্সট্যান্ট মার্কেট সার্ভিল্যান্স সফটওয়্যার সংযোজনের ফলে মার্কেটের সার্বিক চিত্র পাওয়া যাবে, হাউজগুলো কি করছে তা জানা যাবে এবং সর্বোপরি এতে করে স্টক এক্সচেঞ্জের দায়িত্বশীলতা বাড়বে।’
বিএসইসি’র চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা কারসাজির ৪৪টি ধরণ দেখেছি। এই ইনফরমেশন জেনারেট হলে স্টক এক্সচেঞ্জের পক্ষ থেকে কি ধরণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে তা আমরা দেখতে পারবো।’
ড. খায়রুল বলেন, ‘স্টক এক্সচেঞ্জ ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন হয়েছে, এখন নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন পর্ষদ গঠিত হবে। আগের মতো বুকবিল্ডিং ও প্লেসমেন্ট শেয়ার নিয়ে কারসাজি হচ্ছে না, করপোরেট গর্ভনেন্স গাইডলাইন তৈরি হয়েছে এবং বিএসইসি ‘এ’ ক্যাটাগরিতে উন্নীত হয়েছে। এখন দেশের পুঁজিবাজার আরো সমৃদ্ধ। তাই দেশীয় বিনিয়োগকারীদের পাশাপাশি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে দেশের পুঁজিবাজারে আরও আর্কষণীয় হবে।’
ডিএসই’র প্রেসিডেন্ট আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘ইন্সট্যান্ট মার্কেট ওয়াচ সার্ভিল্যান্স সফটওয়্যার সংযোজনের ফলে পুঁজিবাজারের স্বচ্ছতা বাড়বে। এখন থেকে ট্রিগার বাই (আগ্রাসী ক্রয়) হবে না। আর ট্রিগার হলেও পরবর্তী ম্যানুয়াল কি হবে তা নির্ধারণ সহজ হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যখন দায়িত্ব নিয়েছি তখন বাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থাহীনতা ছিল। আমরা দায়িত্ব নেওয়ার আগের দৈনিক গড় লেনদেন ছিল সাড়ে তিনশ কোটি টাকার ঘরে। আর এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচশ কোটি টাকার ঘরে।’
জানা গেছে, ২০১২ সালের নভেম্বর থেকে সফটওয়্যারটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করে ডিএসই। এটি বিএসইসি’র সার্ভিল্যান্স সফটওয়্যারের মতোই অত্যাধুনিক। এই সফটওয়্যার অস্বাভাবিক লেনদেন সনাক্ত করতে সক্ষম। সুইডেনের ট্রাপেটস এবি নামক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে সফটওয়্যারটি নেওয়া হয়েছে।