জিততে জিততে হারল বাংলাদেশ
স্পোর্টস ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ ওভার যত কম ব্যবধানও কমে যায় তত। এ কারণেই হয়ত টি-টোয়েন্টি র্যাংকিংয়ে শ্রীলঙ্কা এক নম্বরে আর বাংলাদেশ দশে থাকলেও সেই ব্যবধান বোঝা গেল না চট্টগ্রামে। সিরিজের প্রথম টোয়েন্টি টোয়েন্টিতে সমান তালেই লড়ল মাশরাফি বিন মর্তুজার দল। এনামুল হক বিজয়ের বীরত্বে শেষ বলে জয়ের জন্য দরকার ছিল ৩ রান। ৫৮ রান নিয়ে শেষ বলটা মোকাবিলা করছিলেন বিজয়। কিন্তু শেষ বলে আউট হলে বাংলাদেশ হেরে যায় ২ রানে।
শ্রীলঙ্কার ১৬৮ রানের জবাবে জয়ের জন্য শেষ ১০ বলে বাংলাদেশের দরকার ছিল ২৩ রান,হাতে ৫ উইকেট। সেখান থেকে জিততে পারত যে কোন দল। তবে শেষ ওভারে লক্ষ্যটা ১৭ রানে বেড়ে দাঁড়ালে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। পেরেরার প্রথম বলেই এনামুল নেন বাউন্ডারি। পরের বলে ২ রান নিয়ে এনামুল পূরণ করেন ফিফটি। ৪ বলে দরকার তখন ১১ রান। পরের বলে রান আউট হয়ে যান ফরহাদ রেজা। জেতার জন্য শেষ ৩ বলে দরকার তখন ১১ রান। চতুর্থ বলে বাউন্ডারি মেরে লক্ষ্যটা শেষ ২ বলে ৭ রানে নামিয়ে আনেন এনামুল হক বিজয়। পঞ্চম বলে আবারও বাউন্ডারি। শেষ বলে দরকার তাই ৩ রান। কিন্তু কোমড় সমান উঁচু বলে ক্যাচ তুলে দেন বিজয়। জিততে জিততেও ২ রানে হেরে যায় বাংলাদেশ। তারা থামে ৬ উইকেটে ১৬৬ রানে।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আগের দুটি টোয়েন্টি টোয়েন্টি ম্যাচেই হেরেছিল বাংলাদেশ। চট্টগ্রামের এবারের পারফর্ম্যান্সে বিশ্বকাপে এখন ভালো করার স্বপ্ন দেখতেই পারে টাইগাররা।
শ্রীলঙ্কা ১৫ ওভার শেষে করেছিল ৬ উইকেটে ১২৫ রান। জবাবে বাংলাদেশ ১৫ ওভার শেষে করেছিল ৩ উইকেটে ১১৭।
শেষ ৩০ বলে জয়ের জন্য দরকার তখন ৫২ রান হাতে ৭ উইকেট। নাসির আর এনামুল তখন খুনে মেজাজে। তাদের দৃঢ়তায় ১৬ ওভারে স্কোরটা বেড়ে দাঁড়ায় ৩ উইকেটে ১২৮। ১৭ ওভারে শ্রীলঙ্কার স্কোর ছিল ৬ উইকেটে ১৩৫ আর বাংলাদেশের ৪ উইকেটে ১৩৩।
ভালো শুরু করেও নাসির মালিঙ্গার করা ১৭তম ওভারে ফিরেন ১৬ করে। এরপরই অভিষেকে কুলাসেকারার বলে মিঠুন আলি ফিরেন ০ রানে। ভালো অবস্থানে থেকেও চাপে পড়ে বাংলাদেশ। তারপরও ১৮ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার স্কোর ছিল ১৪৫/৬ আর বাংলাদেশের ১৪০/৫। আশাটা জেগেছিল তখনও। শেষ ওভারে বাংলাদেশের দরকার ছিল ১৭ রান। শ্রীলঙ্কা শেষ ওভারে নিয়েছিল ১২ রান।
এর আগে তামিম ৩০,শামসুর ২২ ও সাকিব করেছিলেন ২৬।
পেরেরার ৬৪,কুলাসেকারার ৩১ ও চান্ডিমালের ১১-তে ৭ উইকেটে ১৬৮ করেছিল শ্রীলঙ্কা। অধিনায়ক মাশরাফি ২টি,সাকিব ও আরাফাত নেন ২টি করে উইকেট। আরাফাত সানি ও মিঠুন আলির অভিষেক হয়েছে এই ম্যাচে।