দেশজুড়ে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন
মঙ্গলবার ভোরে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ৩১ বার তোপধ্বনির করার মাধ্যমে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের উদযাপন শুরু হয়েছে সারা দেশে।
ভোর থেকে বিভিন্ন বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা শহরে স্থানীয় শহীদদের স্মরণে স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন সর্বস্তরের জনগণ।
এদিকে জামালপুরের সরিষাবাড়িতে স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন কেন্দ্র করে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংঘর্ষে এক বিএনপি কর্মী নিহত হয়েছেন। সরিষাবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল আহসান জানান, আরামনগর বাজারে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে যাওয়ার সময় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়। তিনি জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ শটগানের গুলি ও কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে। এতে বেলাল হোসেন নামে এক ব্যক্তি নিহত হন।
এর আগে ভোর ৬টায় জাতীয় স্মৃতিসৌধে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ অ্যাডভোকেট ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফুল দেয়ার মাধ্যমে শুরু হয় শ্রদ্ধা নিবেদন।
এরপর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলামের নেতৃত্বে বীরশ্রেষ্ঠদের পরিবার ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধারা জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দেন।
পরে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও বাংলাদেশে অবস্থিত বিদেশি কূটনীতিকরা শ্রদ্ধা জানান। এখন পর্যন্ত বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনগণ ফুল দিয়ে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন।
সকাল সাড়ে আটটার দিকে স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বিরোধীদলীয় নেতা ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া।
সরকারি জোটের শরিক জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা দলীয় প্রধান হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদের নেতৃত্বে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
এছাড়া জামায়াতে ইসলামী, সিপিবি, জাসদ সহ অন্যান্য দল এই দিবস উপলক্ষে নানা কর্মসূচি পালন করছে।
স্মৃতিসৌধ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শিশু কিশোর সমাবেশ ও কুচকাওয়াজে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়েছেন। সকাল ১১টায় গণভবনে স্মারক ডাক টিকেট উন্মুক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।
জাতীয় দিবস উপলক্ষে সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। রাজধানীর সব গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনাগুলোতে আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা হয়েছে।