ভালবাসা দিবসে সিলেটে বিয়ের হিড়িক

রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, সিলেটঃ  ভালোবাসা দিবসে বিয়ের হিড়িক পড়েছে সিলেট শহরে। খালি নেই শহরের কোনো কমিউনিটি সেন্টার ও চাইনিজ রেস্টুরেন্ট। একদিকে শুক্রবার আবার ভালোবাসা দিবস হওয়ায় বিয়ের দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে দিনটিকে পছন্দ করে নিয়েছেন প্রবাসীসহ দেশে থাকা অন্য লোকজনও।

ভালবাসা দিবসেই মনের মানুষকে ঘরে ‍তুলছেন সিলেটের দক্ষিণ সুরমার পিরোজপুরের বাসিন্দা সিটি ব্যাংক কর্মকর্তা শাহরিয়ার মোরশেদ। এজন্য তাকে প্রায় দু’মাস আগে কমিউনিটি সেন্টার বুকিং দিতে হয়েছে। দেড়মাস আগে বুকিং দিয়ে রাখতে হয়েছে বিয়ের সাজ ও ফটোগ্রাফি এবং ভিডিওগ্রাফি।

একইসঙ্গে দিনটি শুক্রবার হওয়ায় সিলেট নগরীর প্রায় সবকটি কমিউনিটি সেন্টার ব্যস্ত বিয়ের আয়োজনে। কাকতালীয়ভাবেও অনেকের বিয়ের এ দিনটি বিশ্ব ভালবাসা দিবস পড়ায় আরো জমে উঠেছে।

সিলেটের কমিউনিটি সেন্টার  কর্তৃপক্ষ জানায়, রাজনৈতিক পরিস্থিতি এখন স্বাভবিক হওয়ায় সেন্টারগুলোতে  বিয়ের বুকিং বেড়েছে।

যুক্তরাজ্য থেকে গত অক্টোবর মাসে দেশে এসে বিয়ে করার কথা ছিলো সিলেটের বিয়ানীবাজারের হাসনাত সালেহীর। কিন্তু ওই সময় দেশের  রাজনৈতিক অস্থিরতায় বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক করেও তার দেশে আসা সম্ভব হয়নি। তারিখ পরিবর্তন করে অবশেষে ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালবাসা দিবসে বিয়ে করছেন তিনি।

তার মতই সিলেটের অনেক প্রবাসী যারা গত বছরের শেষ দিকে বিয়ের আয়োজন করতে যাচ্ছিলেন কিন্তু তা পারেননি। কমিউনিটি সেন্টার বুকিং দিয়েই বাতিল করতে হয়েছিলো হরতাল অবরোধসহ রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে। এবার তারা স্বাচ্ছন্দে করছেন বিয়ে।

নগরীর সবচেয়ে বড় কমিউনিটি সেন্টার সানরাইজ সেন্টারের আকিল উদ্দিন জানান, ১৪ ফেব্রুয়ারির বুকিং তারা অনেক আগেই সম্পন্ন করেছেন। দিনটিতে বিয়ের আয়োজনের জন্য প্রায় অর্ধশত বুকিং আবেদন পেয়েছিলেন। কিন্তু তা রাখতে পারেননি আগেই বুকিং হয়ে যাওয়ার কারণে।

একইভাবে সিলেটের হাফিজ কমপ্লেক্স, আগ্রা, মালঞ্চ, সোনারগাঁও কমিউনিনিটি সেন্টারগুলো আগেই বুকিং শেষ হয়েছে বলে কমিউনিটি সেন্টার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন জানা গেছে।

কমিউনিটি সেন্টারের পাশাপাশি বিয়ের বুকিংয়ে পিছিয়ে নেই সিলেটের চাইনিজ রেস্টুরেন্ট হোটেলগুলোর কনভেনশন সেন্টারগুলোও।

অনেকেই পছন্দমত কমিউনিটি সেন্টার না পেয়ে বিয়ের আয়োজনের জন্য চাইনিজ রেস্টুরেন্ট ও হোটেলগুলোতে বুকিং দিয়েছেন।

চাইনিজ রেস্টুরেন্ট ভাড়া করেছেন উপশহর এলাকার আদনান আরেফিন। তিনি বলেন, বুকিং দিতে গিয়ে বিলম্ব হওয়ায় বড় কমিউনিটি সেন্টারগুলো পাওয়া যায়নি। এজন্য একটি হোটেল আমাকে বুকিং দিতে হয়েছে।

বিয়ের আয়োজনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ফটোগ্রাফি ও ভিডিওগ্রাফি।

তাদের ব্যস্ততাও বেশি ভালাবাসা দিবস ঘিরে। সিলেটে বিয়ের ছবি তোলেন খালেদ আহমদ। তার প্রতিষ্ঠান ‘ওয়েডিং স্টোরি’তে ভালবাসা দিবসে বিয়ের আয়োজনের বুকিং প্রায় দেড়মাস আগে হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘ভালবাসা দিবস শুক্রবার হওয়ায় এবার বিয়ের আয়োজন বেশি। অনেকেই যোগাযোগ করেছিলেন কিন্তু আগেই আমার প্রতিষ্ঠান‍ বুকিং করা হয়েছে।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ