কেশবপুর ও কুলাউড়ায় বন্দুকযুদ্ধে ২ ডাকাত নিহত
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ যশোরের কেশবপুর ও মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই ডাকাত নিহত হয়েছেন।
যশোর প্রতিনিধি জানান, শনিবার রাতে কেশকপুর উপজেলার মির্জানগর গ্রামে এ ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে। নিহত রজব আলী মির্জানগর গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে।
কেশবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল জলিল জানান, নিহত রজব একজন চিহ্নিত ডাকাত। তার নামে কেশবপুর থানায় ২২টি মামলা রয়েছে।
তিনি আরও জানান, শনিবার রাত ১১টার দিকে ঝিকরগাছার বাকড়া এলাকা থেকে পুলিশ রজবকে আটক করে। পরে তাকে কেশবপুর থানায় নিয়ে আসা হয়। গভীর রাতে অস্ত্র উদ্ধারের জন্য মির্জানগর গ্রামে যায় পুলিশ। সেখানে রজব ডাকাতের লোকজন পুলিশকে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এসময় রজব পালাতে গেলে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হিন।
জুড়ী (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি জানান, কুলাউড়া উপজেলার ভাটেরা রাবার বাগানের ঘাঘরাছড়া এলাকায় শনিবার গভীর রাতে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ গুলিবিদ্ধ হয়ে বাবুল মিয়া (৩০) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। পুলিশের দাবি, নিহত ব্যক্তি ‘বাবুল ডাকাত’ নামে পরিচিত। এ ঘটনায় পুলিশের দুই সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
বাবুল স্থানীয় ভাটেরা ইউনিয়নের ইসলামনগর গ্রামের আবদুল হকের ছেলে।
কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসানুজ্জামান জানান,বাবুলের নেতৃত্বে ১০-১৫ জনের ডাকাত দল ভাটেরা রাবার বাগানের স্টাফ কোয়ার্টারে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের একটি দল গতকাল দিবাগত রাত সোয়া দুইটার দিকে বাগানের ঘাঘরাছড়া এলাকায় যায়। এ সময় ডাকাত দল টের পেয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও চায়নিজ রাইফেল ও শটগান দিয়ে পাল্টা গুলি ছোড়ে। এতে বাবুলের বুকের দুই পাশে দুটি গুলি লাগে। এ ঘটনায় পুলিশের কনস্টেবল হাবিব ও বজলুলের হাতে ও পায়ে গুলি লাগে। গুলিবিনিময়ের একপর্যায়ে বাবুলের সহযোগীরা সটকে পড়েন।
পরে ঘটনাস্থল থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় বাবুলকে উদ্ধার করে পুলিশ। কুলাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিত্সক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
আহত পুলিশ সদস্যদের কুলাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনাস্থল থেকে ডাকাত দলের ফেলে যাওয়া একটি একনলা বন্দুক, তিনটি তাজা গুলি, দুটি গুলির খোসা, চারটি দা এবং দরজা ও লোহার গ্রিল ভাঙার কিছু সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ওসি হাসানুজ্জামান জানান, বাবুলের বিরুদ্ধে কুলাউড়া ও রাজনগর থানায় হত্যা, ডাকাতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে।