ভবিষ্যতের বিমান
সাইফ মাহমুদ, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ বিশ্বের মোট নির্গত কার্বন-ডাই-অক্সাইডের প্রায় তিন শতাংশ আসে বিমান চলাচল থেকে। ইউরোপীয় কমিশনের কাছে পরিমাণটা অনেক বেশি। তাই ২০৫০ সালের মধ্যে সংখ্যাটা ২৫ শতাংশ কমিয়ে আনার পরিকল্পনা করছে তারা। এ জন্য প্রয়োজন নতুন ধরণের বিমান। বিশেষজ্ঞরা সেই চেষ্টাই করছেন। এ যেমন ছবির প্লেনটি বিদ্যুতের সাহায্যে আকাশে ওড়ে।
পাখায় অবস্থান
এখন যেমন বিমানে যাত্রীদের বসার জায়গা আর বিমানের দুটি পাখা একদম আলাদা, ভবিষ্যতের এ বিমানে তেমনটা থাকবে না। তখন পাখার মধ্যেও যাত্রীদের বসার ব্যবস্থা থাকবে। পাখাটা এভাবে তৈরি করার কারণ, এর ফলে কম জ্বালানি ব্যবহার করেই প্লেন চালানো যাবে। অর্থাৎ বিমানের আকারটা এখানে মুখ্য।
জেট ইঞ্জিনের বদলে খোলা ‘রোটর’
আধুনিক জেট ইঞ্জিনের চেয়েও বেশি দক্ষ খোলা ‘রোটর’। জার্মান এভিয়েশন সেন্টারের হিসেব বলছে, রোটর ব্যবহার করে ২০ শতাংশ পর্যন্ত জ্বালানি ব্যবহার কমানো যায়।
রোটরের সমস্যা
জ্বালানির ব্যবহার কমানো গেলেও রোটরের দুটো সমস্যা আছে। এক, এর ফলে এখনকার বিমানের চেয়ে রোটর সমৃদ্ধ বিমানের গতি ধীর হয়ে যাবে। আর দু’নম্বর সমস্যা হলো, রোটরে শব্দ হয় অনেক।
সৌরশক্তিচালিত বিমান
‘সোলার ইমপালস’ নামে এ বিমানটি নিয়ে ইতিমধ্যে অনেক আলোচনা হয়েছে। কারণ এটা চলে সূর্যের আলোর ওপর নির্ভর করে। বিমানটি এখনো পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন চালিয়ে যাচ্ছে। তবে সমস্যা হলো, প্লেনটি মাত্র ৭০ কিলোমিটার বেগে চলতে পারে। আর কোনো পণ্য বহন করতে পারে না এটি।
‘বাইপ্লেন’-এ ফিরে যাওয়া
বাইপ্লেন মানেই হলো যার দুটি পাখা একটা আরেকটার ওপর থাকে। প্লেনের এমন ডানা বিমানকে দ্রুতগতি ও সাশ্রয়ীভাবে চলতে সহায়তা করে।
দ্রুতগতির প্লেন
যাদের আকাশে বেশি সময় দেওয়ার উপায় নেই, যারা দ্রুত এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যেতে চান তাদের জন্য জার্মান এভিয়েশন সেন্টার নির্মাণ করছে ‘স্পেসলাইনার’ বিমান। রকেট ইঞ্জিনচালিত এ প্লেনের কারণে ইউরোপ থেকে অস্ট্রেলিয়া যেতে মাত্র দেড় ঘণ্টা লাগতে পারে। ২০৫০ সাল নাগাদ সেটা সম্ভব হতে পারে।