প্লাস্টিক বোতলে পানীয় সংরক্ষণ বন্ধ নয় কেন

রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ  খাবার পানি, কোমল পানি, বেভারেজ, ওষুধ এবং অন্যান্য খাদ্যদ্রব্য সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণে ব্যবহৃত প্লাস্টিক বোতলের উৎপাদন, ব্যবহার বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে রোববার হাইকোর্টের বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।

প্লাস্টিক বোতল বাজার থেকে প্রত্যাহার ও ধ্বংসে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়।

যেকোনো প্লাস্টিক বোতল উৎপাদন এবং ব্যবহৃত বোতল প্রত্যাহার নিশ্চিতে মনিটরিং করতে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন মনিটরিং সেল গঠনে কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না, রুলে তাও বলা হয়েছে।

স্বাস্থ্য সচিব, আইন সচিব, খাদ্য সচিব, পরিবেশ সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বিএসটিআই’র মহাপরিচালক, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মো. বদরুদ্দোজা বাদল। তাকে সহায়তা করেন আইনজীবী মির্জা আল মাহমুদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আল আমিন সরকার।

জে আর খান রবিন গত ডিসেম্বরে এই রিট আবেদনটি দায়ের করেন।

শুনানির যুক্তিতে রিটকারীর আইনজীবী আদালতে বলেন, আকার ও ওজনে সুবিধাজনক হলেও প্লাস্টিক বোতল স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। ডাস্টবিন থেকে বোতল কুড়িয়ে নিয়ে পুনর্ব্যবহারের ফলে তা আরও বেশি বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। এর পরও বাংলাদেশে দিন দিন এর ব্যবহার বেড়েই চলছে।

কেবল পানি নয়, তেল, জুস, সস ও ওষুধ পর্যন্ত এসব বোতলে বিক্রি হচ্ছে। প্লাস্টিক বোতলে নিকেল, ইথিলিন, অক্সাইড ও বেনজিন প্রভৃতি ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ রয়েছে।

প্লাস্টিক বোতল ব্যবহারে আকস্মিক মুটিয়ে যাওয়া, হরমোনজনিত অস্বাভাবিকতা, সন্তান জন্ম দানের ক্ষমতা কমে যাওয়া, স্তন ক্যান্সার, জরায়ু ক্যান্সার, হাইজার অ্যাকটিভ, শিশুর অটিজম ও হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ