মধ্যরাতে প্রচারণা শেষ ৯৭ উপজেলায় সেনা মোতায়েন
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ চতুর্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ৯৭টি উপজেলা ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ১৯ ফেব্রুয়ারি। নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে সোমবার থেকে উপজেলাগুলোতে নামছে সেনাবাহিনী। মধ্যরাতেই বন্ধ হচ্ছে নির্বাচনী মিছিল-মিটিংসহ সব ধরনের প্রচার-প্রচারণা।
নির্বাচনের আগে ও পরে মিলিয়ে পাঁচ দিন নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করবে সেনা সদস্যরা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মাঠে থাকবে তারা। প্রতি উপজেলায় এক প্লাটুন করে সেনা টহল দেবে। তবে বড় উপজেলায় এ সংখ্যা বাড়তে পারে। পাশাপাশি প্রতি উপজেলায় সেনাবাহিনীর দুই থেকে তিনটি গাড়ি থাকবে। সঙ্গে সেনাবাহিনীর কমান্ডিং অফিসার ও একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন।
এ ছাড়া মোবাইল ফোর্স হিসেবে পর্যাপ্ত পরিমানে র্যাব, বিজিবি, পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকছে। এ ছাড়া প্রতি কেন্দ্রে একজন পুলিশ (অস্ত্রসহ), অঙ্গীভূত আনসার একজন (অস্ত্রসহ), অঙ্গীভূত আনসার ১০ জন (মহিলা-৪, পুরুষ-৬ জন) এবং আনসার একজন (লাঠিসহ) ও গ্রামপুলিশ একজন করে আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকবে। পার্বত্য এলাকা, দ্বীপাঞ্চল ও হাওর এলাকায় এ সংখ্যা শুধু পুলিশের ক্ষেত্রে দু’জন হবে। নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে ৩৮৮ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ৯৭ জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে।
আর একদিন পরই চতুর্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম পর্বের ভোট। দশম সংসদ নির্বাচনে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি অংশ না নিলেও উপজেলা নির্বাচনে তারা অংশ নিচ্ছে। যে কারণে উপজেলা নির্বাচন বরাবরের চেয়ে এবার হয়ে উঠেছে আরও জমজমাট। ফলে এ নির্বাচনকে ঘিরে বিরাজ করছে জাতীয় নির্বাচনের আমেজ।
নির্বাচন কমিশন প্রথম দফায় ১০২টি উপজেলার তফসিল ঘোষণা করলেও আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি ভোট হবে ৪০ জেলার ৯৭টি উপজেলায়। সীমানা নির্ধারণ নিয়ে জটিলতার কারণে রংপুরের চারটি উপজেলায় নির্বাচন স্থগিত করা হয়। এ দফার পীরগঞ্জ উপজেলার ভোট হবে ২৪ ফেব্রুয়ারি।
সারা দেশে ৪৮৭ উপজেলার এ পর্যন্ত চার ধাপে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। ৫ম ধাপের তফসিলও চলতি সপ্তাহে ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. শাহ নেওয়াজ।
তিনি বলেন, পঞ্চম ধাপেও সব উপজেলায় নির্বাচন সম্পন্ন করা সম্ভব হবে না। কিছু উপজেলায় মেয়াদ শেষ হয়নি। তাই এইচএসসি পরীক্ষা শেষে সেগুলোর নির্বাচন সম্পন্ন করা হবে। এমন উপজেলার সংখ্যা ১০-১২টি রয়েছে বলেও জানান তিনি।
অন্যদিকে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করতে আজ থেকে সেনাবাহিনীসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মাঠে থাকবে বলেও জানান শাহ নেওয়াজ।
‘নির্বাচনে সহিংসতার আশঙ্কা করছেন কিনা’ সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মাঠপর্যায় থেকে এখনও পর্যন্ত এমন কোনো অভিযোগ আসেনি।’
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিএনপির অভিযোগ প্রসঙ্গে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে লিখিত অভিযোগ করার পরামর্শ দেন তিনি।
রিটার্নিং কর্মকর্তারা এর ব্যবস্থা নেবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রয়োজনে আমাদের কাছে তার কপি পাঠাতে পারে।