দেশে ঋণ খেলাপি সাড়ে ৪১ হাজার
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ রাজনৈতিক অস্থিরতায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিল করার নিয়ম-নীতি নমনীয় করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এই সুযোগ শুধু ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা পাবেন বলে জানানো হলেও দেখা যায় পুরনো-নতুন প্রায় সব খেলাপিই তাদের ঋণ এককালীন জমা (ডাউন পেমেন্ট) ছাড়াই বা নামমাত্র জমা দিয়ে নিয়মিত করে নিয়েছে।
এই পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিল বা নিয়মিত করার মহোৎসব শুরু হয় ঋণ খেলাপিদের মধ্যে। যার কারণে ঋণ খেলাপি কমেছে। ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকব্যবস্থায় ঋণ খেলাপির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪১ হাজার ৪২৩ কোটি টাকা। যা ব্যাংকগুলোর বিতরণকৃত ঋণের ৮ দশমিক ৯৩ শতাংশ।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে দেশে শ্রেণিকৃত ঋণের পরিমাণ ছিল ৫৬ হাজার ৭২০ কোটি টাকা। অর্থাৎ তিন মাসের ব্যবধানে ব্যাংকগুলোয় ঋণ খেলাপি কমেছে ১৫ হাজার ২৯৭ কোটি টাকা। ব্যাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ডিসেম্বর শেষে দেশে ব্যাংকগুলোতে আমানত রয়েছে ৬ লাখ ২৭ হাজার ২৯৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে ঋণ বিতরণ করেছে ৪ লাখ ৬৩ হাজার ৮৭০ কোটি টাকা। যা মোট আমানতের প্রায় ৭১ শতাংশ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিলকরণে ব্যাংকগুলোও যাচাই বাছাই না করে এই মহোৎসবে যোগ দিয়েছে। কারণ এতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ কমবে এবং এভাবে খেলাপি ঋণ নিয়মিত হলে এর বিপরীতে প্রভিশনিং বা নিরাপত্তা সঞ্চিতি রাখতে হবে না। ফলে মুনাফার পরিমাণ বাড়বে। তাতে ব্যাংকের উদ্যোক্তারা বেশি করে লভ্যাংশ পাবেন। একইসঙ্গে ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের ওপর যে মূলধন সংরক্ষণ করতে হয়, তা-ও লাগবে না বলে ব্যাংকের মূলধনের ভিত্তিও বাড়বে। সব মিলিয়ে ব্যাংকের স্বাস্থ্য কাগজে-কলমে ভালো দেখাবে।