উদ্বোধন হল রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান ফ্লাইওভার
রাজধানীর মিরপুর-এয়ারপোর্ট রোড ফ্লাইওভারের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার বেলা ১১টার দিকে এ ফ্লাইওভারের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। উদ্বোধন শেষে এক বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ ফ্লাইওভারটির নামকরণ করা হবে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের নামে।
এসময় যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়েদুল কাদের, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, মেজর জেনারেল মো. হাবিবুর রহমান খান, প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবু সাঈদ মো. মাসুদ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধন শেষে ফ্লাইওভার যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
মন্ত্রণালয়ের সড়ক বিভাগ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মাধ্যমে ২০১০ সালের মার্চে মিরপুর-এয়ারপোর্ট রোড ফ্লাইওভার নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করে। ২০১১ সালের ২৫ জানুয়ারি প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। সেনাবাহিনীর কোর অব ইঞ্জিনিয়ার্সের সদস্যদের নিষ্ঠা ও কর্মদক্ষতায় নির্ধারিত সময়ের তিন মাস আগেই প্রকল্পটি সফলভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়েছে।
এর ফলে মিরপুর-এয়ারপোর্ট ফ্লাইওভার রাজধানীর পূর্ব ও পশ্চিমের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের পাশাপাশি যানজট নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
এ ফ্লাইওভার ব্যবহার করে মিরপুরবাসী মাত্র ২০ থেকে ২৫ মিনিটের মধ্যে এয়ারপোর্ট সড়কে পৌঁছাতে পারবে। এর জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনের ১১ কিলোমিটার সড়কের পরিবর্তে মাত্র তিন কিলোমিটার সড়ক ব্যবহার করতে হবে। এছাড়াও ফ্লাইওভারের নিচে নির্মিত সার্ভিস রোড ব্যবহার করে মিরপুর-এয়ারপোর্ট রোডের উভয় পাশে অতি সহজে যোগাযোগ করা সম্ভব হবে। এতে বাড়বে রাস্তার ধারণ ক্ষমতাও।
ফ্লাইওভারটি দৈর্ঘ্যে এক হাজার ৭৯৩ মিটার ও প্রস্থে ১৫ দশমিক ৫২ মিটার। এর লেন সংখ্যা চারটি। এটির নির্মাণ প্রতিষ্ঠান মীর আক্তার হোসেন লি.।
যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের আওতাধীন এ প্রকল্পের কাজটি সম্পন্ন করেছে সেনাবাহিনীর স্পেশাল ওয়ার্ক অর্গানাইজেশনের অধীনস্থ ১৬ ইঞ্জিনিয়ার কন্সট্রাকশন ব্যাটালিয়ান। ফ্লাইওভারটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১৯৯ কোটি ৮৮ লাখ টাকা