আলকায়েদার কথিত অডিও বার্তা নিয়ে রাজনীতিতে উত্তাপ
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ ৫ জানুয়ারীর নির্বাচন নিয়ে সরকার ও বিরোধী দল পরষ্পরকে রাজনীতির কূটচালে কাবু করতে উঠে পড়ে লেগেছে। বিপরীত দুই রাজনৈতিক শক্তির পরষ্পরবিরোধী কর্মকাণ্ডে ফের অশান্ত হয়ে উঠছে রাজনীতির মাঠ। নিত্য নতুন ইস্যুতে বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তেজনা। আল কায়েদার কথিত অডিও বার্তায় সে উত্তেজনার স্ফূলিঙ্গ ছড়িয়ে পড়েছে।
আওয়ামী লীগ নেতাদের অভিযোগ, বিএনপি জঙ্গিবাদকে লালন করে। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতাই জঙ্গিবাদী রাজনীতির অনুমোদন দেন। তারা কখনো উগ্রবাদকে ছাড়তে পারেনি। তাদের ছত্রছায়ায় জেএমবির উত্থান ঘটেছিল। তারাই বলেছিল বাংলাভাই এবং শায়খ আব্দুর রহমান মিডিয়ার সৃষ্টি। এখনো তারা জঙ্গি শক্তি নিয়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করতে চায়।
ডিআরইউতে মঙ্গলবার এক আলোচনায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, অতীতে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাথে জঙ্গি নেতা দাউদ ইব্রাহিমের সম্পর্কের প্রমাণ পাওয়া গেছে। আয়মান আল জাওয়াহিরির অডিও বার্তার তদন্ত চলছে। এর সঙ্গে জড়িতদের বিচার করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার গাজীপুরে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষাবাহিনীর সমাবেশে বাংলাদেশকে জঙ্গিবাদের লীলাভূমি হিসেবে ব্যবহৃত হতে দেওয়া যাবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন। তিনি বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্ক থাকারও আহ্বান জানান। এর দু দিন পর শুক্রবার আলকায়দার শীর্ষ নেতা আইমান-আল-জাওয়াহিরির ভারত ও পশ্চিমের ক্রিমিনালদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য বাংলাদেশের মুসলমানদের প্রতি আহ্বান সংবলিত এক ভিডিও বার্তা প্রচারিত হয়। এই ভিডিও বার্তা প্রচারের পরপরই সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় আল কায়েদার সাথে বিএনপি জামায়াতের সাথে সম্পর্ক আবিস্কারের ঘোষণা করে।
আল কায়দার কথিত ভিডিও বার্তা নিয়ে বিএনপিকে জড়িয়ে সরকারদলীয় নেতাদের বক্তব্য রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, এটা বিএনপি ও দেশের জনগণের বিরুদ্ধে সরকারের এক নতুন ষড়যন্ত্র। তারা জঙ্গীবাদের ধোঁয়া তুলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে নিজেদের পক্ষে টানার কূটকৌশল হিসেবে নিয়েছে।
সোমবার দুপুরে বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।