বিএনপি-জামায়াত জয়ী

রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ  চতুর্থ দফা নির্বাচনের প্রথম দফায় গতকাল ৯৭টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বেসরকারি ফলে বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী জয়ী হয়েছেন ৪২টিতে। আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন ৩৪টি উপজেলায়। জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী জয়ী হয়েছেন ১২টিতে। জাতীয় পার্টি একটি উপজেলাতে জয়ী হয়েছে। এছাড়া অন্যান্যরা সাতটি উপজেলায় চেয়ারম্যান হিসাবে জয়ী হয়েছেন। উল্লাপাড়া উপজেলার দু’টি কেন্দ্রের ফল স্থগিত রাখা হয়েছে। তবে এখানে আওয়ামী লীগ প্রার্থী এগিয়ে রয়েছেন। বেসরকারিভাবে নির্বাচিতরা হলেন- হবিগঞ্জের মাধবপুরে বিএনপি সমর্থিত সৈয়দ মোহাম্মদ শাহজাহান। কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে আওয়ামী লীগের সারোয়ার আলম নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকলিতে আওয়ামী লীগের কারার সাইফুল ইসলাম  নির্বাচিত হয়েছেন।  করিমগঞ্জে বিএনপির সাইফুল ইসলাম সুমন নির্বাচিত হয়েছেন। পাবনার আটঘরিয়ায় জামায়াত সমর্থিত মাওলানা জহুরুল ইসলাম জয়ী হয়েছেন। মানিকগঞ্জের দৌলতপুরে বিএনপির তোজাম্মেল হক তোতা বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।শিবালয় উপজেলায় বিএনপির আলী আকবর  বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। রংপুরের তারাগঞ্জে নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আনিসুর রহমান লিটন। খুলনার কয়রা উপজেলায় জামায়াতের মাওলানা তমিজউদ্দিন নির্বাচিত হয়েছেন। দিঘলিয়া উপজেলায় আওয়ামী লীগের খান নজরুল ইসলাম  নির্বাচিত হয়েছেন। ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে জামায়াতের মাওলানা তাজুল ইসলাম নির্বাচিত হয়েছেন। কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় বিএনপির প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার নির্বাচিত হয়েছেন। নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় আওয়ামী লীগের সৈয়দ জাবেদ হোসেন নির্বাচিত হয়েছেন।  যশোরের অভয়নগরে বিএনপি সমর্থিত নূরুল হক মোল্লা নির্বাচিত হয়েছেন। কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় বিএনপির এডভোকেট অহিদুল ইসলাম আলম নির্বাচিত হয়েছেন। চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বিএনপির নুরুল আমিন নির্বাচিত হয়েছেন। হবিগঞ্জের বাহুবলে আওয়ামী লীগের আবদুল হাই বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলায় আওয়ামী লীগের  আবুল কালাম নির্বাচিত হয়েছেন। কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায় বিএনপির মো. নজির হোসেন জয়ী হয়েছেন। ঝিনাইদহের শৈলকূপায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত সোনা শিকদার নির্বাচিত হয়েছেন। মাগুরার শ্রীপুরে বিএনপি সমর্থিত বদরুল আলম হিরো নির্বাচিত হয়েছেন।  ঝিনাইদহ সদরে বিএনপির এডভোকেট আবদুল আলীম নির্বাচিত হয়েছেন।  দিনাজপুরের কাহারোলে বিএনপি সমর্থিত মামুনুর রশীদ নির্বাচিত হয়েছেন।  খানসামা উপজেলায় বিএনপির শহীদুজ্জামান শাহ বিজয়ী হয়েছেন। শরীয়তপুরের জাজিরায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত মোবারক আলী শিকদার নির্বাচিত হয়েছেন। ডামুড্যায় আওয়ামী লীগের আলমগীর হোসেন মাঝি নির্বাচিত হয়েছেন। ভেদরগঞ্জে বিএনপির আনোয়ার হোসেন নির্বাচিত হয়েছেন। গোসাইরহাটে আওয়ামী লীগের সৈয়দ নাসির উদ্দিন নির্বাচিত হয়েছেন। নরসিংদীর বেলাবতে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী মো. আহসান হাবিব বিপ্লব নির্বাচিত হয়েছেন। রাজশাহীর মোহনপুরে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী অধ্যক্ষ আবদুস সামাদ নির্বাচিত হয়েছেন। কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীতে আওয়ামী লীগের মো. নুরুন্নবী চৌধুরী নির্বাচিত হয়েছেন। পাবনার সুজানগরে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আবুল কাশেম বিজয়ী হয়েছেন। কুড়িগ্রামের উলিপুরে বিএনপির হায়দার আলী বিজয়ী হয়েছেন।বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় জামায়াতের আবদুল গণি মণ্ডল নির্বাচিত হয়েছেন। নন্দীগ্রামে জামায়াতের নূরুল ইসলাম মন্ডল নির্বাচিত হয়েছেন। শেরপুরে জামায়াতের দবিবুর রহমান  নির্বাচিত হয়েছেন। সারিয়াকান্দিতে বিএনপির মাসুদার রহমান হিরু মণ্ডল বিজয়ী হয়েছেন। ধুনটে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী তৌহিদুল আলম মামুন নির্বাচিত হয়েছেন।সোনাতলায় বিএনপির আহসানুল হক জয়ী হয়েছেন। মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় বিএনপির বশির উদ্দিন নির্বাচিত হয়েছেন। নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় বিএনপি সমর্থিত দেলোয়ার হোসেন ভুঁইয়া দুলাল জয়ী হয়েছেন। সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে আওয়ামী লীগ সমর্থিত অধ্যক্ষ ইদ্রিস আলী বীরপ্রতীক বিজয়ী হয়েছেন। রংপুরের মিঠাপুকুরে জামায়াতের গোলাম রব্বানী বিজয়ী হয়েছেন। পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে আওয়ামী লীগের হাসনাত জামান চৌধুরী জর্জ বিজয়ী হয়েছেন। বোদায় জামায়াতের শফিউল্লাহ শফি জয়ী হয়েছেন। আটোয়ারিতে বিএনপির আবদুর রহমান আবদার নির্বাচিত হয়েছেন।পঞ্চগড় সদর উপজেলায় আওয়ামী লীগের আনোয়ার সাদাত সম্রাট বিজয়ী হয়েছেন। সাতক্ষীরা আশাশুনিতে আওয়ামী লীগের এবিএম মোস্তাকিম বিজয়ী হয়েছেন। ঢাকার দোহারে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী কামরুল হুদা নির্বাচিত হয়েছেন। মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে বিএনপির আবিদুর রহমান রুমা হয়েছেন। মাগুরা সদর উপজেলায় বিএনপি সমর্থিত নাজিম উদ্দিন আহমেদ নির্বাচিত হয়েছেন। পাবনার সাথিয়ায় জামায়াতের মোখলেছুর রহমান নির্বাচিত হয়েছেন। নীলফামারীর জলঢাকায় জামায়াতের সৈয়দ আলী নির্বাচিত হয়েছেন। সৈয়দপুরে আওয়ামী লীগের জাওয়াদুল হক সরকার জয়ী হয়েছেন। ডিমলায় আওয়ামী লীগের তবিবুল ইসলাম নির্বাচিত হয়েছেন। রাঙ্গামাটির মাটিরাঙায় বিএনপির তাজুল ইসলাম নির্বাচিত হয়েছেন। সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে বিএনপির আইনুল হক নির্বাচিত হয়েছেন। সিলেটের গোলাপগঞ্জে জামায়াতের হাফিজ নজমুল ইসলাম, বিশ্বনাথে বিএনপির সুহেল আহমদ চৌধুরী, গোয়াইনঘাটে বিএনপির আবদুল হাকিম চৌধুরী, কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের বাছির মিয়া, জৈন্তাপুরে জামায়াতের জয়নাল আবেদীন, জকিগঞ্জে বিএনপির ইকবাল আহমদ জয়ী হয়েছেন। মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় আওয়ামী লীগের কামরুল হাসান বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। খাগড়াছড়ি সদরে ইউপিডিএফের চঞ্জুমনি চাকমা জয়ী হয়েছেন।পানছড়িতে ইউপিডিএফের সর্বোত্তম চাকমা জয়ী হয়েছেন। রামগড়ে বিএনপির শহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া ফরহাদ নির্বাচিত হয়েছেন। মানিকছড়িতে আওয়ামী লীগের ম্রাগ্য মারমা নির্বাচিত হয়েছেন। মহালছড়িতে জনসংহতি সমিতির (এমএম লারমা) বিমল কান্তি চাকমা হয়েছেন।  নড়াইলের কালিয়ায় জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের খান শামিমুর রহমান ওছি, নওগাঁর মহাদেবপুরে বিএনপির আবদুস সাত্তার, রাণীনগরে বিএনপির আল ফারুক, নবাবগঞ্জে বিএনপির আবু আশফাক, রাজবাড়ীতে বিএনপির এমএ খালেক, জামালপুরে বিএনপির আমজাদ হোসেন বিজয়ী হয়েছেন। গৌরনদীতে আওয়ামী লীগের ইঞ্জিনিয়ার শাহ আলম, গোপালগঞ্জের মকসুদপুরে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আশরাফুল আলম বিজয়ী হয়েছেন। গাইবান্ধার সাঘাটায় জাতীয় পার্টির গোলাম শহীদ রঞ্জু, গোবিন্দগঞ্জে বিএনপির ফারুক আহমেদ বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। নেত্রকোনার দুর্গাপুরে আওয়ামী লীগের এমদাদ খান জয়ী হয়েছেন। কালকিনিতে আওয়ামী লীগের তৌফিকুজ্জামান, চট্টগ্রামের হাটহাজারিতে বিএনপির মাহবুবুল আলম, জামালপুরের সরিষাবাড়িতে বিএনপির ফরিদুল কবীর তালুকদার নির্বাচিত হয়েছেন। সুনামগঞ্জের ছাতকে আওয়ামী লীগের অলিউর রহমান মুকুল নির্বাচিত হয়েছেন। রাজবাড়ীর পাংশায় আওয়ামী লীগের ফরিদ হোসেন, গোপালগঞ্জের কাশিয়ানিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জানে আলম, চাঁপাই নবাবগঞ্জের নাচোলে আওয়ামী লীগের আবদুল কাদের, গাজীপুরের কাপাসিয়ায় বিএনপির আজিজুর রহমান নির্বাচিত হয়েছেন। ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে আওয়ামী লীগের জাহাঙ্গীর সিদ্দিক জয়ী হয়েছে। রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে আওয়ামী লীগের আবুল কালাম নির্বাচিত হয়েছেন। ভোলার লালমোহনে আওয়ামী লীগের অধ্যক্ষ গিয়াস উদ্দিন আহমেদ বিজয়ী হয়েছেন। মেহেরপুর সদরে বিএনপির এডভোকেট মারুফ আহমেদ বিজন নির্বাচিত হয়েছেন। সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে আওয়ামী লীগের মোজাম্মেল হক বকুল বিজয়ী হয়েছেন। সদর উপজেলায় নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের রিয়াজউদ্দিন, উল্লাপাড়ায় ১২১ কেন্দ্রের মধ্যে ১১৯টির ফলে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মারুফ বিন হাবিব ৮ হাজার ভোট বেশি পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। দু’টি কেন্দ্রের ফল স্থগিত রাখা হয়েছে।

গোপালগঞ্জে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রাথী জয়ী

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, গোপালগঞ্জ জেলার দুই উপজেলার দু’টিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। কাশিয়ানী উপজেলায় আওয়ামী লীগ সর্মর্থিত প্রার্থী সুব্রত ঠাকুরকে হারিয়েছেন দলের বিদ্রোহী প্রার্থী জানে আলম বীরু।  মুকসেদপুরে বিদ্রোহী প্রার্থী আশরাফুল আলম শিমুল আওয়ামী লীগ সমর্থিত শ্যামল কান্তি বোসকে পরাজিত করেছেন।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ