দুর্নীতি-জঙ্গিবাদ থেকে বাংলাদেশ বের হয়ে এসেছে
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পর স্বাধীনতার চেতনা মাথায় রেখে দেশ গড়ার কাজ শুরু করে আওয়ামী লীগ সরকার। কিন্তু ২০০১ সালের পর বাংলাদেশ আবার দুর্নীতিগ্রস্ত, জঙ্গিবাদ ও মানি লন্ডারিংয়ের দেশে পরিণত হয়। তবে এসব থেকে বাংলাদেশ এখন বের হয়ে এসেছে।
শুক্রবার বিকেলে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে বক্তব্য দেওয়ার সময় এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি সেখানে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের চার দিনব্যাপী সেমিনারের উদ্বোধন করেন।
একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি আদায়ের জন্য রফিকুল ইসলামের অবদানের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এক রফিক রক্ত দিয়ে ভাষার মর্যাদা দিয়েছেন, আরেক রফিক উদ্যোগ নিয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে একুশে ফেব্রুয়ারিকে স্বীকৃতি দিয়েছেন।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য যারা উদ্যোগ নিয়েছিলেন, সেই প্রবাসী রফিকুল ইসলাম ও সালামের প্রতি শ্রদ্ধা জানান তিনি। রফিকুল ইসলাম কিছুদিন আগে মারা গেছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার নাম ইতিহাসে লেখা থাকবে। দিনটিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পেতে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি জানান, সব দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, সরকারপ্রধানের কাছে ভাষা-আন্দোলনের তথ্য ও ছবি পাঠানো হয়। খুব অল্প সময়ের মধ্যে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে একুশে ফেব্রুয়ারি স্বীকৃতি পায়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের ভাষা, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য সবকিছু আমরা সমুন্নত রাখতে পারব। বাংলাদেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে পারব, এই বিশ্বাস আমার আছে।
তিনি বলেন, পৃথিবীতে এমন দেশ খুব কমই আছে যেখানে ভাষার জন্য সংগ্রাম করতে হয়েছে। আমাদের বাংলা ভাষা এমনই ভাষা যে ভাষার জন্য সংগ্রাম-লড়াই করতে হয়েছে। বাঙালি লড়াই করে ভাষার মর্যাদা রক্ষা করেছে।
শেখ হাসিনা বক্তব্য দেওয়ার সময় ভাষা-আন্দোলনের ইতিহাস ও আন্দোলনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আমাদের দেশের মানুষ সব সময় নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করে। বাঙালি জাতি কখনও মাথা নত করেনি।
একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার পর আমাদের জন্য বড় একটা দায়িত্ব এসেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট সব ভাষার চর্চা করবে। মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষা করবে। সব জাতির মাতৃভাষা সংরক্ষণ করবে।
তিনি আশ প্রকাশ করে বলেন, এক সময় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন হবে।