এবার লঙ্কাওয়াশ বাংলাদেশ
স্পোর্টস ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ‘বাংলাওয়াশ’-এর সুবাস নিয়ে সিরিজটা শুরু করেছিল বাংলাদেশ। প্রথম দুই ওয়ানডে হেরে সেই সুবাস হাওয়ায় মিলিয়ে গেছে আগেই। এবার উল্টো ‘লঙ্কাওয়াশ’ হল মুশফিকুর রহিমের দল। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে ৮ উইকেটে ২৪০ করেছিল তারা। জবাবে কুশল পেরেরা ক্যারিয়ারের প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরিতে ৬ উইকেটের সহজ জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে লঙ্কানরা। ৪৭.৩ ওভারে লক্ষ্যটা পেরিয়ে যায় সাঙ্গাকারা,দিলশান,জয়াবর্ধনে,মালিঙ্গা,মেন্ডিসকে ছাড়া খেলতে নামা ‘দ্বিতীয় সারির’ শ্রীলঙ্কা।
টেস্ট সিরিজে ১-০ ব্যবধানে হারের পর টি-টোয়েন্টিতে ২-০’তে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল বাংলাদেশ। এবার ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশের তেতো স্বাদ পেতে হল ওয়ানডেতে। সর্বশেষ ২০১১ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডেতে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল বাংলাদেশ। এই ম্যাচ হেরে ৩ বছর পর শ্রীলঙ্কা সেই স্বাদ দিল আবারও।
২৪১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার লাহিরু থিরুমান্নে ও কুশল পেরেরা উদ্বোধনী জুটিতে ১০ ওভারে করেছিলেন ৪৪। এগারতম ওভারের প্রথম বলে থিরুমান্নেকে (১৮) শামসুর রহমানের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান মাহমুদুল্লাহ। এরপর ভিথাঙ্গেকে (৯) বোল্ড করেন তিনি। তবে চাপটা বাড়তে দেননি কুশল পেরেরা ও চান্দিমাল। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ১৩৮ রান যোগ করে ম্যাচটা হাতের মুঠোয় নিয়ে আসেন দুজন। কুশলকে বোল্ড করে জুটিটা ভাঙ্গেন রুবেল হোসেন। ১২৪ বলে ৬ বাউন্ডারি ৫ ছক্কায় ১০৬ রানের অসাধারণ ইনিংসে তৃতীয় ওয়ানডে জয়ের নায়ক বনে যান কুশল পেরেরাই। এরপর ৭০ বলে ৬৪ করা চান্দিমালকেও উইকেটের পেছনে এনামুলের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান রুবেল। তবে ততক্ষণে দেরী হয়ে গেছেন। চান্দিমাল ফেরার সময়ও ৪১.১ ওভারে শ্রীলঙ্কার স্কোর ছিল ৪ উইকেটে ২০৫। অর্থাৎ জয় তখন হাতছোয়া দূরত্বে। সেই দূরত্বটাই মিটে যায় ম্যাথুজ (২০*),প্রিয়ঞ্জনের (২২*) ব্যাটিংয়ে।
১৯৯৯ বিশ্বকাপের পর প্রথমবার সাঙ্গাকারা,জয়াবর্ধনে ও দিলশানকে ছাড়া খেলতে নেমেছে শ্রীলঙ্কা। ছিলেন না মালিঙ্গা আর মেন্ডিসও। অর্থাৎ মোটামুটি ‘এ’ দলের চেহারা নিয়েছে শ্রীলঙ্কা। তারপরও বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা মেলে ধরতে পারেননি নিজেদের। ২০১২ সালের পর ওয়ানডেতে ফিরে ধাম্মিকা প্রসাদ ৩ উইকেট নিয়ে মাথা চড়তে দেননি বাংলাদেশি টপঅর্ডারদের। তিনি ফিরিয়েছেন এনামুল (২),শামসুর (২৫) ও মুশফিককে (৩০)।
মমিনুল খেলছিলেন নিজেকে উজার করে। ৬০ বলে ৮ বাউন্ডারিতে ৬০ করে দূর্ভাগ্যজনক রানআউট হন তিনি। সাকিবের জায়গায় ফেরা নাঈম ইসলাম ৫৫ বলে ৩২ করে সেনানায়েকের বলে ক্যাচ দেন প্রসাদকে। বড় ইনিংসের আশা জাগিয়েও নাসির ফিরেন ৪৩ বলে ৩৮ করে। নাসির আউট হওয়ার সময় ৪৪.১ ওভারে ৭ উইকেটে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ২০১। সেটা ৮ উইকেটে ২৪০ পর্যন্ত পৌঁছে সোহাগ গাজীর ১৩ বলে ৩ ছক্কায় ২৩ আর শফিউল ইসলামের ১৮ বলে ১৫-তে। প্রসাদ ৪৯ রানে ৩,লাকমল ২৪ রানে ২ ও সেনানায়েকে ৪৬ রানে নেন ১ উইকেট।