পদত্যাগ না করার ঘোষণা প্রেসিডেন্টের প্রাসাদ দখলের ঘোষণা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ ইউক্রেনের সরকার পতনের দারপ্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকোভিচের প্রাসাদ দখলে নিয়েছেন সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীরা। তাদের দাবি প্রেসিডেন্ট ইয়ানুকোভিচ রাজধানী কিয়েভ ছেড়ে পালিয়েছেন। তবে ধারনা করা হচ্ছে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় খারকিভ শহরে সফরে গেছেন তিনি।
সাংবাদিকেরা বলছেন, কোন ধরনের নিরাপত্তা বাধা পেরুনো ছাড়াই তারা প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে প্রবেশ করেছেন। এমতাবস্থায় প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকোভিচ বলেছেন তিনি পদত্যাগ করবেন না। রাজধানী কিয়েভে যা ঘটছে তাকে অভ্যুত্থান হিসেবে উল্লেখ করে তিনি পদত্যাগের সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন।
আগে রেকর্ড করে রাখা ইউক্রেনের রেডিওতে প্রচারিত এক অডিও বার্তায় ইয়ানুকোভিচ বলেন, জনগণকে রক্ষার দায়িত্ব তার। এ জন্যই রক্তাক্ত সহিংসতা বন্ধের জন্য কোন কড়া পদক্ষেপ নেননি তিনি। রাজধানীতে যা ঘটছে তাকে দস্যুতা, ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম ও অভ্যুত্থান দাবি করেন ইয়ানুকোভিচ।
এমন একটা সময় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সত্যিকারের অবস্থান জানা যাচ্ছে না যখন প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ ও পার্লামেন্ট ভবনসহ সরকারি সবকিছুই ইউরোপীয় ইউনিয়নপন্থী বিরোধীদের দখলে রয়েছে। রাজধানী কিয়েভ কার্যত বিরোধীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ ও নতুন নির্বাচনের দাবিতে বিরোধীদের তীব্র আন্দোলনের মুখে ঠিক কোথায় অবস্থান নিয়েছেন ইয়ানুকোভিচ তা স্পষ্ট নয়। বিরোধীনেতা ভিটালি ক্লিটসকো বলেছেন, রাজধানী ছেড়ে চলে গেছেন ইয়ানুকোভিচ।
ফলে ২৫ মের মধ্যে আগাম নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছেন তারা। এদিকে সাংবাদিকেরা বলছেন, তারা কোন ধরনের নিরাপত্তা বাধা ছাড়াই প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ে প্রবেশ করতে সক্ষম হয়েছেন।
বিরোধীনেতা ভিটালি পার্লামেন্টের এক বিশেষ অধিবেশনে দাবি করেছেন, শনিবার কিয়েভ ছেড়ে চলে গেছেন প্রেসিডেন্ট। শনিবারের মধ্যে ইয়ানুকোভিচকে পদত্যাগ করতে হবে-পার্লামেন্টে এমন একটি আলোচনায় এ তথ্য দিয়েছেন ভিটালি।
বিরোধীরা বলছেন, লাখ লাখ ইউক্রেনবাসীর একটিই দাবি। তা হচ্ছে দ্রুত প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। রাজধানীতে সংঘর্ষে বহু হতাহতের পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট নিখোঁজ হওয়ার খবর এলো।
এদিকে সহিংসতা বন্ধে শান্তি চূক্তি মেনে চলার জন্য জার্মানিসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশ সরকার ও বিরোধী উভয় পক্ষের প্রতি আহবান জানিয়েছে।