রণক্ষেত্র জবি: শিক্ষকসহ আহত তিন শতাধিক
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের তিব্বত হল দখলমুক্ত করতে গিয়ে হাজী সেলিমের সমর্থকদের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে শিক্ষকসহ তিন শতাধিক আহত হয়েছেন।
রোববার বেদখল হওয়া হল উদ্ধারে জবির ছাত্র-শিক্ষকেরা গেলে এ সংঘর্ষ বাধে। একইসঙ্গে পুলিশের মারমুখী আচরণেরও মুখোমুখি হয়েছেন সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা।
এর পর সাধারণ ছাত্র-ছাত্রী আর হাজী সেলিমের লোকজনের সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ হস্তক্ষেপ করে। তাদের টিয়ার শেল নিক্ষেপ আর বেধড়ক লাঠিপেটায় গুরুতর আহত হন জবির ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. নাসিরউদ্দিন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার সকাল ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ করেন আন্দোলনকারীরা। সকাল ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় পাঁচ হাজার শিক্ষার্থী মিছিল নিয়ে পুরান ঢাকার রায়সাহেব বাজার মোড় ও নয়াবাজার মোড় সড়ক অবরোধ করে। পরে শিক্ষার্থীরা পুরান ঢাকার ইসলামপুরে হাজী সেলিমের দখলে থাকা তিব্বত হল দখলে রওনা হয়। এ সময় বাংলাবাজার মোড়ে পুলিশ বেরিকেড দিলে শিক্ষার্থীরা বাধা উপেক্ষা করে তিব্বত হল অভিমুখে রওয়ানা হন।
বেলা ১০টার দিকে পাটুয়াটুলী নুরুল হক মার্কেটের সামনে শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিলে আচমকা পুলিশ লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল ছুড়ে ছাত্রদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকেন। এ সময় পুলিশের গুলিতে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক নাসিরউদ্দিন আহমেদসহ আরও তিন শিক্ষক গুলিবিদ্ধ হন। এছাড়া পুলিশের গুলিতে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শরিফুল ইসলাম ও আলোকিত বাংলাদেশের চিত্রসাংবাদিক মুইদ খন্দকার আহত হন।
পুলিশের চরম বৈরি আচরণে গুরুতর আহতদের মধ্যে জবির ইংরেজি বিভাগের প্রধান মো. নাসিরউদ্দিন, জবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শরীফুল ইসলাম, সহ-সভাপতি হিমেলুর রহমান হিমেল, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, সহ-সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব বসাক, উপ-মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক সম্পাদক সজীব আশপাশের ক্লিনিক ও হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এ ব্যাপারে জবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম জানান, পুলিশ বিনা উস্কানিতে আন্দোলনরত সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর হামলা চালায়। তারা হাজী সেলিমের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। তাদের টিয়ার শেল নিক্ষেপ ও লাঠিপেটায় প্রায় তিন শতাধিক ছাত্র-শিক্ষক আহত হয়েছেন।