১৪ লাখ অভিবাসী শ্রমিককে কুয়েত ছাড়তে হবে
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ কুয়েতে কর্মরত শ্রমিকদের প্রায় ১৪ লাখকে আগামি ৫ বছরে কুয়েত ছেড়ে যেতে হবে। প্রতি বছর ২ লাখ ৮০ হাজার করে শ্রমিক বিতাড়নের মাধ্যমে ৫ বছরে ১৪ লাখ অভিবাসী শ্রমিককে তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছেন কুয়েতি এমপি ড. খলিল আবদুল্লাহ।
দেশের জনসংখ্যার ভারসাম্য রক্ষার (ডেমোগ্রাফিক ব্যালেন্স) জন্য এমন প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। কুয়েতে বর্তমানে কুয়েতি জনসংখ্যার চেয়ে বিদেশি অভিবাসীর সংখ্যা অনেক বেশি। বর্তমানে কুয়েতের নাগরিক হচ্ছেন ১২ লাখ। অন্যদিকে দেশটিতে আসা অভিবাসী শ্রমিকের সংখ্যা ২৫ লাখ।
অভিবাসীর সংখ্যা যেন প্রকৃত নাগরিকেদের চেয়ে বেশি না হয় এ জন্য দেশে অভিবাসী শ্রমিক ১১ লাখে নামিয়ে আনার পরামর্শ দিয়েছেন খলিল আবদুল্লাহ। অন্যথায় কুয়েতিরা নিজ দেশে পরবাসী হয়ে পড়বেন। রোববার স্থানীয় আল রাই পত্রিকায় তার উদ্বৃতি দিয়ে বলা হয়, কুয়েতের জনসংখ্যা ভারসাম্য সমস্যার সমাধান করতে হবে।
খলিল আবদুল্লাহ বলেন, অভিবাসীর সংখ্যা কুয়েতি জনগণের চেয়ে কম করা না গেলেও অন্তত তা সমান হতে হবে। তবে কুয়েতের উন্নয়নে অবদান রাখছেন, নিজ ক্ষেত্রে যথেষ্ট কর্মদক্ষতা আছে ও নাগরিকত্ব আছে এমন অভিবাসীদের কোনভাবেই কুয়েত ছাড়া করা যাবে না বলে উল্লেখ করেন তিনি।
কুয়েতে বসবাসকারী জনসংখ্যার মধ্যে বর্তমানে মাত্র ৩১.৩ ভাগ রয়েছেন কুয়েতি নাগরিক। মোট ৩৯ লাখ ৬৫ হাজার ২২ জনের মধ্যে কুয়েতিদের সংখ্যা ১২ লাখ ৪২ হাজার ৪শ’ ৯০ জন।
এ ছাড়া কুয়েতের প্রায় ২৫ লাখ অভিবাসীর মধ্যে ৩৭.৮ ভাগ নিয়ে ১৪ লাখ ৯৯ হাজার ৯শ’ ৯৯ জন এশীয় অভিবাসী শ্রমিক। এর মধ্যে কয়েক লাখ বাংলাদেশি শ্রমিক রয়েছেন পারস্য উপসাগরীয় দেশটিতে। দেশটিতে অভিবাসী আরব রয়েছেন ২৭.৯ ভাগ।
খলিল আবদুল্লাহ বলেন অভিবাসী শ্রমিক মোট জনসংখ্যার শতকরা ২৫ ভাগের বেশি হওয়া উচিত নয়। অভিবাসীর সংখ্যা সব সময় ২৫ ভাগের নিচে থাকতে হবে।