জেএমবি নেতা রাকিব বন্দুকযুদ্ধে নিহত
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, টাঙ্গাইলঃ নিষিদ্ধঘোষিত জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) মজলিসে শুরা সদস্য ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত হাফেজ মাহমুদ ওরফে রাকিব হাসান (৩৫) আজ সোমবার ভোরে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন।
টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা এ খবর নিশ্চিত করেছেন।
টাঙ্গাইল সদর সার্কেলের এএসপি হাফিজ আল আক্তার জানান, রাকিব হাসানকে নিয়ে সোমবার ভোর রাতে অভিযানে বের হয় পুলিশ। মির্জাপুর-সখীপুর সীমান্তবর্তী বাঁশতৈল এলাকায় পৌঁছার পর জেএমবি সদস্যরা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এ সময় গুলি বিনিময়ের পর রাকিব হাসান গুলিবিদ্ধ হয়। এ ঘটনায় পুলিশের দুই সদস্য আহত হন বলেও তিনি জানান।
এর আগে রোববার সকালে ময়মনসিংহের ত্রিশাল থেকে ফিল্মি স্টাইলে পুলিশের প্রিজন ভ্যান থেকে সাজাপ্রাপ্ত ৩ জেএমবি সদস্যকে ছিনিয়ে নেয় তার সহযোগিরা। ছিনতাইয়ের সাত ঘণ্টার মাথায় টাঙ্গাইল থেকে জঙ্গি সদস্য রাকিবকে গ্রেফতার করা হলেও বাকি দু’জনের খোঁজ মেলেনি।
ছিনতাইকৃত আসামিরা হলেন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সালাউদ্দিন সালেহীন, রাকিব হাসান এবং যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বোমা মিজান। ঘটনার সময় দুর্বৃত্তদের এলোপাতাড়ি গুলি ও বোমার আঘাতে আতিকুর রহমান (৩২) নামে পুলিশের এক কনস্টেবল নিহত ও দুই পুলিশ সদস্য আহত হন। গুলিবিদ্ধ এসআই হাবিবুর রহমান (৫০) ও সোহেল রানাকে (৩০) ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনার পর পালানোর সময় টাঙ্গাইলের সখিপুর থেকে জাকারিয়া নামের এক জেএমবি’র সদস্যকে অস্ত্র ও ব্যবহৃত গাড়িসহ আটক করে পুলিশ। অপরদিকে দণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামিকে ছিনতাই করে নিয়ে যওয়ার ৭ ঘণ্টা পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হাফেজ রাকিব হাসানকে টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলার তক্তারচালা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশের সদর দফতর থেকে জানানো হয়, দণ্ডপ্রাপ্ত ওই তিন আসামিকে কাশিমপুর কারাগার থেকে ময়মনসিংহ কোর্টে নেয়া হচ্ছিল। আসামিদের মধ্যে সালাউদ্দিন সালেহীনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৪০টিরও বেশি মামলা রয়েছে। এর তিনটি মামলায় তার মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। সালাউদ্দিন সালেহীনের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানায়। অপর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জেএমবির শুরা সদস্য রাকিব হাসানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৩০টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ১টিতে মৃত্যুদণ্ড ও ১টিতে যাবজ্জীবন সাজা দেয়া হয়। তার বাড়ি জামালপুরে। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি বোমা মিজানের বিরুদ্ধে ১৯টি মামলা রয়েছে। এর একটিতে যাবজ্জীবন সাজা দেয়া হয়। তার বাড়িও জামালপুরের মেলান্দহে।