জেএমবি ইস্যু রহস্যজনক
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ দ্বিতীয় দফা উপজেলা নির্বাচনের প্রাক্কালে জেএমবি ইস্যু রহস্যজনক বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।
তিনি বলেন, সরকার দেশী ও আর্ন্তজাতিক গোষ্ঠীর দৃষ্টি অন্যদিকে ফেরাতে আরেকটি নাটক সাজানোর চেষ্টা করছে।
জেএমবির সদস্য রাকিব ক্রশফায়ারে নিহত ও পুলিশের কাছ থেকে তিন জিএমবি সদস্য ছিনতাই হওয়ার ঘটনায় তিনি এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, রহস্যের কুয়াশা জনগণ একদিন বেদ করবেই।
সোমবার বিকেল দলের নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে এদের বিচার করে শাস্তি দিয়েছে। আর বতর্মান সরকার কি করছে?
উপজেলা নির্বাচন নিজেদের মতো করে গুছিয়ে নেয়ার জন্য পাইকারি হারে গ্রেফতার করছে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, সরকার সারাদেশে জঙ্গলের রাজত্ব কায়েম করেছে।জনগণের রায় নিতে হবে এটা তারা বিশ্বাস করে না।তারা গণতন্ত্র বলতে আওয়ামী তন্ত্র কায়েম করেছে।তাদের লক্ষ্য বিরোধী শক্তিকে বিলীন করা।
রিজভী বলেন, এই সরকারের চূড়ান্ত পতন না করা পযর্ন্ত আরো কোনো কাজ নেই আর কোনো কর্মসূচি থাকতে পারে না।
২৭ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় দফা উপজেলা নির্বাচনে সরকার নীল নকশা বাস্তবায়ন করার চেষ্টা্ করছে এই অভিযোগ করে তিনি বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি সরকার তার পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে তাদের দলীয় ক্যাডাররা এলাকায় দাপট ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি আবারো দাবি করেন, উপজেলা নির্বাচন একটি আঞ্চলিক নির্বাচন।এই নির্বাচনে সুষ্ঠু পরিবেশ নেই। সরকার যেখানে নির্বাচনকালে দেশে স্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করবে কিন্তু তা না করে এলাকায় সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে।
সরকারের উদ্দেশ্য হচ্ছে নির্বাচনকে একতরফা ও নিজেদের প্রার্থীদের জিতিয়ে নেয়া এবং ভোটাররা যাতে ভোট কেন্দ্রের যেতে না পারে এজন্য বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের পাইকারী হারে গ্রেফতার করে জেলে পাঠাচ্ছে।
এরই অংশ হিসেবে আজ বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান মিনুসহ ৪৫ জন নেতাকে তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে জেলে পাঠিয়েছে।এর থেকে প্রমাণ হয় নিম্ম আদালত সরকারের অধিনস্থ হয়ে কাজ করছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দলের সহদপ্তর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি ও আসাদুল করিম শাহীন।