‘গণহত্যা করেছেন আপনি, বিএনপি নেত্রী
বিরোধীদলীয় নেত্রী গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন না বলে সেনাবাহিনীকে উস্কে দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, তার স্বামী সেনাবাহিনীর কাধে ভর করে ক্ষমতায় এসেছিলেন। এখন তিনিও সেভাবে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন।
বুধবার সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী এ সব কথা বলেন।
এ সময় খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘গণহত্যা করেছেন আপনি, বিএনপি নেত্রী। গণহত্যার জন্য যদি কাউকে বিচার করা হয়, তবে আপনার বিচার হবে।’
তিনি বলেন, মানুষের রক্ত না দেখলে খালেদার জিয়ার ভালো লাগে না। তার রক্তপিপাসু চেহারা আজ জনগণের কাছে স্পষ্ট।
সেনাবাহিনী যাতে জাতিসংঘে যেতে না পারে সে জন্য খালেদা জিয়া লবিং করছেন অভিযোগ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শান্তি রক্ষায় তারা সারা বিশ্বে কাজ করছেন। জাতিসংঘের নীতি নির্ধারণীতেও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কাজ করছেন।
জিয়াউর রহমানের হাতে সেনাবাহিনীর রক্ত লেগেছিল মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘৭৭ সালে ক্যুতে ৬৬৫ জন বিমান বাহিনীর অফিসারকে হত্যাসহ অসংখ্য সেনা সদস্যকে হত্যা করেছেন তিনি। পরে তিনিও এক ক্যুতে মারা গেছেন।’
শেখ হাসিনা দাবি করে বলেন, ‘খালেদা জিয়ার জন্ম ভারতে। এজন্য উনার এ দেশের মাটির প্রতি টান নেই। উনার হৃদয়ে আছে পেয়ারের পাকিস্তান।’
বিরোধীদলীয় নেত্রীকে পাকিস্তান চলে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘উনি তো বাংলাদেশের স্বাধীনতায়ই বিশ্বাস করেন না। আপনার বুকে যো পেয়ার থা, ওই পেয়ার লে কে পাকিস্তান মে যাইয়ে।’
খালেদা জিয়া যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে গলাবাজিতে নেমেছেন মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাংলার মাটিতে হবেই।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর সভাপতিত্বে এতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, সাহারা খাতুন, নূহ-উল আলম লেনিন, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফসহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা।