মাছ দেবে ঘূর্ণিঝড়ের তথ্য

সাইফ মাহমুদ, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ  হারিকেনের পূর্বাভাস পেতে মাছের শরণাপন্ন হয়েছেন বিজ্ঞানীরা। সাগরের বিভিন্ন স্তরের তাপমাত্রা ও লবণাক্ততার তথ্য দিচ্ছে মাছেরা। খবর অ্যারিজোনা স্টারের।

আটলান্টিক মহাসাগর এবং ক্যারিবীয় ও মেক্সিকো উপসাগরে অবস্থানরত ৭৫০ মাছ নিজেদের পিঠে সংযোজিত ট্যাগের মাধ্যমে তাদের আশপাশের এলাকা সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য পাঠাচ্ছে। উপগ্রহ হয়ে এসব তথ্য বিজ্ঞানীদের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে। এ তথ্যগুলো ভবিষ্যতে ঘূর্ণিঝড়ের আরো নিখুঁত পূর্বাভাস পেতে সহায়ক হবে বলে বিজ্ঞানীরা আশা করছেন।

মাছের অভিবাসন, খাদ্যাভ্যাস ও প্রজনন সম্পর্কে জানতে মিয়ামি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়াবিদ্যা ও সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের বিজ্ঞানীরা ২০০১ সালে টারপুন মাছের গায়ে স্যাটেলাইট ট্যাগ সংযোজন করেন। অধিক তথ্য পেতে ২০১০ সালে তারা হাঙরের শরীরেও এসব সংকেতবিচ্ছুরক যন্ত্রাংশের যোগ ঘটান। পানির উপরিস্তরে আসামাত্র এসব মাছের অবস্থানস্থলের ইতিবৃত্তান্ত ওই যন্ত্রাংশ থেকে উপগ্রহে পৌঁছে যায়। তথ্যগুলো বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা বছরতিনেক আগে একটি লক্ষণীয় মিল দেখতে পান। কমবেশি সব মাছই ৭৯ ডিগ্রি তাপমাত্রার আশপাশে থাকত, কোনো ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির জন্য ঠিক যতটুকু উত্তাপ না হলেই নয়। আবার ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হলে বাড়তি উত্তাপে বের হওয়া সাগরদেহের পুষ্টির খোঁজে নিম্নচাপের চলার পথেই মাছেরা ধাবিত হয়। এ থেকেই বিজ্ঞানীরা বুঝতে পারেন, মাছের আশপাশের তাপমাত্রার তথ্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসের জন্য আবহাওয়াবিদদের অনুসৃত কম্পিউটার মডেলে ঢোকানো হলে তা থেকে আরো ভালোভাবে আসন্ন দুর্যোগের আগাম সংকেত দেয়া ও প্রস্তুতি নেয়া সম্ভব।

রোজেনশিয়েলের আবহাওয়াবিদ্যা ও সমুদ্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক নিক শের ভাষায়, মজার ব্যাপার হলো মাছেরা অযুত তথ্য দিতে পারে এবং এটা অনেক সম্ভাবনা ধারণ করে। বিজ্ঞানীরা এসব তথ্য যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টারে দিতে আগ্রহী। সমস্যা হলো সেজন্য যথেষ্ট তথ্য পেতে আরো অনেক মাছের গায়ে ট্যাগ সংযোজন জরুরি। এজন্য প্রয়োজনীয় তহবিল চেয়ে পাননি তারা।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ